শনিবারের রাত। কাজের চাপ কিছুটা হাল্কা। কিন্তু ঈশানের চোখে হয়তো ঘুম নেই, এমনটাই বলছে নুসরত জাহানের ইনস্টাগ্রাম স্টোরি। মধ্যরাতে তিনি মনে করছেন ঈশানের বাবা ও মাসিকে। কী লিখেছেন?
বাবা যশ দাশগুপ্ত। আর মাসি মিমি চক্রবর্তী, নুসরতের বোনুয়া। যশ ও মিমির একসঙ্গে অভিনীত এক ছবির নাচের ভিডিয়ো নিজের ইনস্টা স্টোরিতে শেয়ার করেন নুসরত লিখেছেন, “উইকেন্ডিং… ড্যাডি অ্যান্ড মাসি”। সঙ্গে যশ ও মিমিকে ট্যাগ করতেও ভোলেননি তিনি। ছোট্ট ঈশানও কি সঙ্গী হয়েছে মায়ের ‘উইকেন্ডিংয়ের’?
মিমির সঙ্গে জুটি বেঁধে অনেকগুলো ছবি করেছেন যশ। সেই নিরিখে নুসরতের সঙ্গে যশ অভিনীত ছবির সংখ্যা কম। যশের সঙ্গে মিমিকে জুটি হিসেবে দেখতেও পছন্দ করতেন নেটিজেন। কিন্তু ওই যে, ‘মনের হদিস কেউ রাখে না…’।
ঈশানকে তিনি এবং যশ দুজনে সামলাচ্ছেন, এ কথা আগেই জানিয়েছেন নুসরত। বাবা হিসেবে যশকে ফুল মার্কসও দিয়েছেন। TV9 বাংলাকে আগেই নুসরত বলেছিলেন, “যশ ইজ অ্যান অ্যামেজিং ফাদার। ও আছে বলেই আমি সবটা সামলে নিতে পারছি। আমি যখন শুটিংয়ে বের হচ্ছি তখন ঈশানকে দেখে রাখছে ও। আবার ও যখন শুটিংয়ে বের হচ্ছে তখন ঈশানকে দেখছি আমি। যদি নম্বর দিতেই হয় তবে বাবা হিসেবে যশকে আমি দশের মধ্যে এগারো দেব আমি।” সদ্য ছবির শুটিংয়ে ঈশানকে কলকাতায় রেখেই কাশ্মীর পাড়ি দিয়েছিলেন যশ-নুসরত। সে প্রসঙ্গে অভিনেত্রী আগেই বলেছেন, “ঈশানকে ওই ঠাণ্ডার মধ্যে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। সারাক্ষণ মন পড়ে থাকত ওর কাছেই। ভিডিয়ো কলে ওকে দেখতাম। ওর খোঁজ রাখতাম। আগে এত ফোন দেখতাম না এখন যতটা দেখি। একটা অ্যাড অন দায়িত্ব জুড়েছে যে।”
নুসরতের জীবনে সদ্য আরও একটি পরিবর্তন এসেছে। ‘স্বামী’/’সহবাস সঙ্গী’ নিখিল জৈনের সঙ্গে আলিপুর আদালতে মামলা চলছিল তাঁর। ২০২১ সালের মার্চ মাসে ‘অ্যানালমেন্ট অফ ম্যারেজ’-এ মামলা করেছিলেন নিখিল। জুন মাসে নুসরতও তাঁর বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন, তাঁদের তুরস্কের বিয়ে আসলে বিয়েই নয়। অর্থাৎ, তিনিও মেনে নিয়েছিলেন নিখিলের বক্তব্য। ফলে দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে আদালত তাঁদের বিচ্ছেদ চূড়ান্ত করেছে। সেই মামলায় নিখিলের কাছে হেরে গিয়েছেন নুসরত। সেই রায় বেরিয়েছে গত ১৭ নভেম্বর।
TV9 বাংলাকে এক্সক্লুসিভলি নিখিলের আইনজীবী সত্যব্রত চক্রবর্তী এ প্রসঙ্গে আগেই বলেছিলেন, “নিখিলের পক্ষে বিচারপতি রায় দিয়েছেন। ২০২১ সালের মার্চ মাসে নিখিল যে মামলাটা ফাইল করেছিল, সেই মামলার শুনানি চলছিল। পুজোর ছুটির আগে শেষ শুনানি হয়। আইনত স্ত্রী হলে খোরপোশ দাবি করতে পারতেন নুসরত। কিন্তু যেহেতু নুসরত আইনত নিখিলের স্ত্রী নন, তাই কোনওরকম খোরপোশ তিনি দাবি করতে পারবেন না।”