অভিনেতা যশের শেষ পোসট করা ছবিতে ছিল ভরপুর নীল রং। ‘নীল রঙ তাঁর ভীষণ প্রিয়’ কি না ত অবশ্য জানা যায়নি। তবে ছবিতে যশের ড্যাশিং লুক ধরা পড়েছে। ক্যাপশনে যশ লিখেছেন ‘বিট দ্য মনডে ব্লুজ়’। সাদা টিশার্ট। যশের লুক নিচের দিকে। দু’হাতের ট্যাটু স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। গতকাল অর্থাৎ রোববার ঠোঁটের কোনে হালকা স্মাইল রেখে ছবি পোস্ট করে ছিলেন যশ। ক্যাপশনে লেখেন, ‘নিজের ফোন চার্জ করার সঙ্গে সঙ্গে আপনি নিজেকে রিচার্জ করুন…’ তবে কাকে সে রিচার্জ করতে বলেছেন তা স্পষ্ট করেননি তিনি।
নতুন কোনও ছবি পোস্ট না করলেও নিজের ইনস্টা স্টোরিতে দিয়ে চলেছেন অভিনেতা। বেশিরভাগ পোস্টে কারওর কোনও উক্তি। সম্প্রতি আরেকটি পোস্ট নিজের স্টোরিতে শেয়ার করলেন যশ। তাতে দেখা যাচ্ছে মাঝসমুদ্রে একটি নৌকো আর তাতে বসে এক বিশালাকার হাতি। ছবিতে লেখা—‘লিশেন টু সাইলেন্স, ইট হ্যাজ সো মাচ টু সে’। এই উক্তিটি লিখেছেন রুমি। যার বাংলা তর্জমা—‘নিরবতাকে শোনা, ওর অনেক কিছু বলার আছে।’
পোস্টের মাধ্যমে কি যশ অনেক কিছু বলার চেষ্টা করলেন? না তা অবশ্য জানা যায়নি। যশের ইঙ্গিতবাহী পোস্ট নিয়ে কম কথা হচ্ছে না সোশ্যাল পাড়ায়। শুধু যশ কেন,তাঁর ‘বিশেষ বন্ধু’ নুসরতও দিয়ে চলেছেন ক্রিপ্টিক পোস্ট। গত কয়েক মাস ধরে চলছে যশের ইঙ্গিতবাহী পোস্ট। গত যশের একটি ছবিতে ছিল বুদ্ধমূর্তি। উৎসুক চাহিনেতে দেখা যায় অভিনেতা যশকে। ক্যাপশনে যশ যা লিখেছিলেন তার বাংলা তর্জমা করলে যা দাঁড়ায় তা হল—‘ সত্যিকারে জ্ঞান এটা জানা যে আপনি কিছুই জানেন না…’। পোস্টের ঠিক নিচে অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরতের কমেন্ট। নুসরত জাহান লেখেন, ‘ক্যাপশনের সঙ্গে সহমত’। এমনকি কিছু ছবি এমন তাঁদের ইনস্টা ওয়ালে, যা দেখে অনেকে মনে করছেন তাঁরা রয়েছেন এক জায়গাতে। তবে, বহুদিন পরে একজন অন্যজনের পোস্টে করলেন কমেন্ট।
নুসরতের মা হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসতেই নিখিল জৈন জানিয়েছিলেন সন্তানের বাবা তিনি নন। অন্য দিকে, নুসরত দিন কয়েক আগে এক বিবৃতিতে জানিয়েছিলেন নিখিলের সঙ্গে তুরস্কতে যে ‘বিয়ে’ হয়েছিল তাঁর তা ভারতে ‘বৈধ’ নয় কারণ আইনত তাঁদের বিয়ে হয়নি। তাঁরা লিভ-ইন সম্পর্কে ছিলেন। স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে, জন-প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভার বায়োপ্রোফাইলে তাহলে ‘বিবাহিত’ এবং স্বামীর নামের জায়গায় নিখিল জৈনের উল্লেখ করলেন কেন? সংসদ ভবনে ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’ বলে সাংসদ হিসাবে নুসরত জাহানের শপথবাক্য পাঠের যে মুহূর্তের ভিডিয়ো টুইটে শেয়ার করেছেন বিজেপির অমিত মালব্য, তাতে আরও জোরদার হয়েছে এই প্রশ্ন: জন-প্রতিনিধি হিসেবে নুসরত তাঁর ম্যারিটাল স্টেটাস সম্পর্কে যে তথ্য পেশ করেছেন, তা আদৌ নীতিগত বলে বিবেচিত হতে পারে কি না।
অভিনেতা যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে নুসরতের বিশেষ সম্পর্কের কারণেই নাকি নিখিলের সঙ্গে তাঁর দাম্পত্যে ভাঙন ধরে, এ জল্পনাও বিভিন্ন মহলে তৈরি হয়। যদিও তা নিয়ে মুখ খোলেননি নুসরত। এমনকি তাঁর সন্তানের বাবা কে, তা নিয়েও কাউকে কৈফিয়ৎ দেওয়ার প্রয়োজন আছে বলে মনে করেননি। বিগত বেশ কিছু দিন ধরেই তাঁকে নিয়ে বিতর্ক যত জটিল হয়েছে ইনস্টায় একের পর ইঙ্গিতবাহী পোস্ট করে চলেছেন নুসরত। এ দিনও তার ব্যতিক্রম হল না।