টলিউডের স্টারকিড তিনি। সুপারস্টার বিশ্বজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ছেলে বলে কথা। তাই শৈশব থেকেই লাইমলাইটের আওতায় ছিলেন সকলের প্রিয় বুম্বা। আজ যিনি ‘ইন্ডাস্ট্রি’, না, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় মোটেও এটা মেনে নেন না। তাঁর কথায়, একটি ছবির সংলাপ মাত্র এটি। সেটাই মানুষের মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়ে। আমি কখনই আমাকে ইন্ডাস্ট্রি বলে দাবি করি না। করবই বা কেন? সকলের প্রিয় সেই কাকাবাবুর আজ জন্মদিন। ৩০ সেপ্টেম্বর, মধ্যরাত থেকেই শুরু সেলিব্রেশন। কেক টাকা থেকে শুরু করে ফ্যানক্লাবের হুল্লোর, প্রসেনজিতের এই দিনটিকে বিশেষ করে তুলতে মরিয়া সকলে। দেখতে দেখতে ষাটের গণ্ডি পেরিয়ে এখন তিনি সিনিয়ার সিটিজেন। সিনিয়ারই বটে, টলিউডের যেন তিনি অঘোষিত অভিভাবক, সকলেই নিজ নিজ সমস্যা নিয়ে তাঁর দরজায় পৌঁছে যান। খালি হাতে কেউ কখনই পেরেননি, সাধ্য মতো, বুদ্ধি দিয়ে, উপদেশ দিয়ে সাহায্য করে থাকেন তিনি।
সময় পাল্টেছে, পাল্টে গিয়েছে ছবির স্বাদ, দর্শকদের নজর, সেই পরন্ত বেলা থেকে টলিউডের পথিক তিনি। তবে কোথায় থেকে যাচ্ছে খামতি, নিজেই এবার TV9বাংলায় মুখ খুলেছিলেন অভিনেতা। জানিয়েছিলেন, সব হলেও কোথাও গিয়ে যেন আমরা প্রচারের ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকছি। কোথাও গিয়ে যেন আমরা ছবির মার্কেটিং-টা ঠিকভাবে করে উঠতে পারছি না। ছবিকে স্রবস্তরে নিয়ে যেতে পারছি না, এখানেই বেশ খানিকটা পিছিয়ে পড়ছে টলিউড। যে সমস্যাটা বর্তমানে অন্যতম বলেই এদিন সাক্ষাৎকারে দাবি করেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
এখানেই শেষ নয়, প্রসেনজিৎ, সেদিন গর্বের সঙ্গে জানিয়েছিলেন, যখন সকলেই বলছে টলিউডের মৃত্যু ঘটেছে, ইন্ডাস্ট্রিটা শেষ হয়ে যাচ্ছে, তখন কোথাও গিয়ে যেন প্রসেনজিতের ইচ্ছে হয়েছিল, তিনি এই ইন্ডাস্ট্রিতেই থাকবেন। বলিউড থেকে ছবির প্রস্তাব থাকলেও তিনি যাননি। তবে সেই সময় টলিউডকে একা কাঁধে বয়ে নিয়ে বেরিয়েছেন, এই মন্তব্যকে একবাক্যে অস্বীকার করে তিনি বলেছিলেন, ”আমরা অনেকেই ছিলাম একসঙ্গে, নিজেরদের মতো করে চেষ্টা করছিলাম কাজ করছিলাম, আর সত্যি বলছি ভালই চলছিল, খারাপ কিছুই ছিল না।”