গোটা দুনিয়াকে চমকে দিয়ে ২৭ নভেম্বর বিয়ে করেন টলিউডের সবচেয়ে এলিজিবল ব্যাচেলর অভিনেতা-পরিচালক-প্রযোজক পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং তাঁর সমাজসেবী-গায়িকা পিয়া চক্রবর্তী। বিয়ের পর দিন পিয়ার কিডনি থেকে পাথর সরানো হয়। এবং তার কিছুদিন পরই কিডনিতে স্টেন্ট নিয়ে পরমব্রতর হাত ধরে ডাবলিনে মধুচন্দ্রিমা সারতে যান পিয়া। বন্ধু অনুপমের প্রাক্তন স্ত্রী পিয়ার সঙ্গে আগেই ‘পরকীয়া’ সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন পরম। অনুপমকে ডিভোর্স দিয়ে পরমকে বিয়ে করেছেন পিয়া। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ার রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল। দুই প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের বিয়ে করে একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্তকে কিছুতেই মন থেকে মেনে নিতে পারছিলেন না নিন্দুকেরা। কখনও অনুপমের গানের লাইন, তাঁর প্রথম স্ত্রী, পরমব্রতর প্রাক্তন প্রেমিকারা, পিয়ার ‘কাল্পনিক’ দুই সন্তান–কাউকেই রেহাই দেয়নি এই নেটপাড়ার একাংশের বাসিন্দা। এবার ফের পরমব্রতকে বিশ্রীভাবে আক্রমণ করলেন কেউ-কেউ। কী তাঁর অপরাধ?
বিদেশের মাটিতে আগেই বড়দিনের উদযাপন শুরু হয়ে যায়। ডাবলিনে মধুচন্দ্রিমা কাটানোর সময় সেখানে বড়দিন পালনের একটি সুন্দর ছবি তোলেন পরম-পিয়া। এবং দেশে বড়দিনে সেই ছবি পিয়া পোস্ট করেছেন তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরপর মন্তব্য করতে থাকেন পিয়া-পরমের অনুরাগীরা। বন্ধু-বান্ধবেরা ভালবাসা পাঠাতে থাকেন সদ্য বিবাহিত কাপলকে। কিন্তু তারই মাঝে নিন্দুকদেরও আগমন ঘটে। এবার আক্রমণের বিষয় পিয়ার বয়স। আচ্ছা, পরমব্রতর বয়স যেন কত?
“বুড়ি মহিলার মধ্যে কী খুঁজে পেল”, এমন এক মন্তব্য করেছে এক নিন্দুক। ঘটনাচক্রে পরমব্রতর বয়স ৪৩। তিনি যদি ‘বুড়ো’ না হয়ে থাকেন, তা হলে পিয়া কীভাবে বুড়ি হলেন। উত্তর জানা নেই কারওই। এই নিন্দুকের মন্তব্যে আবার সায় দিয়েছে আরও অনেকে। একজন কটাক্ষের সুরে বলেছে, “মানুষ হিসেবে মহিলা সত্যি খুব ভাল। এরকম মহিলা আমরা সবাই ডিসার্ভ করি স্ত্রী হিসেবে। ব্যক্তিত্ব বলুন বা মানুষ হিসেবে বলুন, এই মানুষটি সত্যি খুব ভাল। এরকম সচরাচর দেখা যায় না।” এই ব্যক্তি যে ইনিয়ে-বিনিয়ে পরমব্রতকে কথা শুনিয়েছেন, তা তিনি পরবর্তী মন্তব্যে খোলসাও করে দিয়েছে, “আপনারা মনে হয় আমার ব্যঙ্গ বোঝেননি। ভাল বলতে কী বুঝিয়েছি বোঝেননি?”