Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Prosenjit Chattarjee: ‘একবার সময় করে এসে দেখে যাও’, ‘দোস্তজী’র সঙ্গে দোস্তি প্রসঙ্গে বুম্বাদা

Dostojee: প্রসেনজিতের এই আমন্ত্রণ পেয়ে অনেকেরই মনে হয়েছে, মেঘ না চাইতেই জল। সোশ্যাল মিডিয়ায়, লোকমুখে এত প্রশংসা, তাই-ই দেখার ইচ্ছে অনেকেরই হয়েছিল।

Prosenjit Chattarjee: ‘একবার সময় করে এসে দেখে যাও’, ‘দোস্তজী’র সঙ্গে দোস্তি প্রসঙ্গে বুম্বাদা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 09, 2022 | 5:41 PM

ঠিক যেন নেমন্তন্ন বাড়ি। ঢোকার মুখে দুই ছোট্ট ছেলের হাসি-হাসি মুখের ছবিওয়ালা পোস্টার। এদের চেনেন? এই দুই ছোট্ট ছেলেই তো মাতিয়ে দিয়েছে রুপোলি পর্দা। অন্তত শহরের বিভিন্ন প্রান্তে এযাবৎ যে সব স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ের আয়োজন করা হয়েছে এ ছবির, সেসব স্ক্রিনিংয়ে এই দুই খুদে—আশিক শেখ ও আরিফ শেখের—অভিনয় দেখে উচ্ছ্বসিত দর্শক। ঠিকই ধরেছেন, হচ্ছে ‘দোস্তজী’ (Dostojee) সিনেমার কথা। ‘দোস্তজী’র পোস্টারে চোখ পড়লে যে কোনও অতিথি, অভ্যাগত কিছুক্ষণ আটকে যাবেন। রাধা স্টুডিয়োয় ছবির নিবেদক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prosenjit Chatterjee) স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করেন সোমবার রাত আটটার পর। সবাই থমকে যাচ্ছিলেন স্ট্যান্ডির কাছে এসে। রঞ্জিত মল্লিক থেকে দেবলীনা। দেবলীনা ছবিও নিলেন। পোস্টারে চোখ পড়তেই মুখে নির্মল হাসি চলে আসছে আপনাআপনি। পোস্টারটাই এরকম, তাহলে ছবিতে না জানি কী আছে। অতিথিদের জন্য গেটে দাঁড়িয়ে ছিলেন নবীন পরিচালক প্রসূন চট্টোপাধ্যায়। ‘বুম্বাদা’ এসেই টেনে নিলেন বুকে।

প্রেক্ষাগৃহে একে-অপরের ঘা ঘেঁষে একসঙ্গে ভাল ছবি দেখার হারিয়ে যাওয়া আবেগঘন দৃশ্য ধরা পড়ল TV9 বাংলার ক্যামেরায়। বাবা কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে এসেছেন পুত্র উজান। বললেন, “পোস্টার দেখেই মনে ইচ্ছে জাগে ছবিটা দেখতে হবে।” ছবির নিবেদক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “আমাদের এক নবীন পরিচালক একটা ভাল ছবি করেছেন। বহু মঞ্চে সম্মান পেয়েছে এবং পাচ্ছে এই ছবি। একবার সময় করে এসে দেখে যাও।” গত সপ্তাহে নিজের বালিগঞ্জের বাংলো ‘উৎসব’-এ রেড কার্পেট পেতে সিনেমার দুই দোস্তকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ‘বুম্বাদা’। সম্প্রতি মালয়েশিয়া গোল্ডেন গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ডে সেরা অভিনেতার পুরস্কার জিতে নিয়েছে ছবির দুই শিশুশিল্পী আশিক ও আরিফ। সেই পুরস্কারই সেদিন তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। ছবির ট্রেলারমুক্তিও হয়েছিল তাঁর হাত ধরেই। এ ছবির ট্রেলার দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে গিয়েছেন স্বয়ং অমিতাভ বচ্চন। টুইট করে সেই ট্রেলার শেয়ারও করেছিলেন বিগ বি।

প্রসেনজিতের এই আমন্ত্রণ পেয়ে অনেকেরই মনে হয়েছে, মেঘ না চাইতেই জল। সোশ্যাল মিডিয়ায়, লোকমুখে এত প্রশংসা, তাই-ই দেখার ইচ্ছে অনেকেরই হয়েছিল। রাধা স্টুডিয়োয় স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ের ব্যবস্থা করায় মনে-মনে তাই বোধহয় সকলে ‘থ্যাংক ইউ’ বলেছেন বুম্বাদাকে। হঠাৎ অনুরোধে সব ব্যবস্থা করে দিয়েছেন নন্দন কর্তৃপক্ষ। তাই নন্দনকে আলাদা করে ধন্যবাদ জানালেন প্রসেনজিৎ নিজেও।

স্পেশাল স্ক্রিনিংয়ের সময় ছিল রাত আটটা পঁচিশ, দৈনিক শো শেষ হয়ে যাওয়ার পর। লাল পাঞ্জাবি আর জিন্স পরে বেশ কিছুটা আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন ‘দোস্তজী’র নবীন পরিচালক প্রসূন। কারা আসবেন, সে ব্যাপারে বিশদে জানতেন না। কারণ হোস্ট তো স্বয়ং প্রসেনজিৎ। শুধু জানতেন অনেকেই আসবে। আগেভাগে পৌঁছে গিয়েছিলেন পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী। স্বভাবসিদ্ধ হাসি নিয়ে ছোট্ট করে গৌতম ঘোষ বললেন, “আমি ভীষণই খুশি।” এসেছিলেন চিরঞ্জিতও। সংবাদমাধ্যমের অনুরোধে এক ফ্রেমে কথায় ধরাও দিলেন তাঁরা। চিরঞ্জিতের কথায়, “এই ছবি দেখতে আসার পেছনে আমার ব্যক্তিগত কারণও আছে। আমার খুব পরিচিত একজন এই ছবির সঙ্গে যুক্ত রয়েছে।”

আপ্লুত পরিচালক প্রসূন, “টলিউডকে এভাবে পাশে পাবো ভাবিনি। ‘দোস্তজী’র পাশে বন্ধুর মতোই আছেন বুম্বাদা-সহ সকলে।”