তিনি লিখেছিলেন—‘তখন আমৃত্যু লিখে যাব প্রতিবাদ/ উন্মত্ত হিংস্র নিরবধি/ এ যদি সমাজ হয়/তবে আমি সমাজবিরোধী’। তিনি স্বকণ্ঠে বলেছেন, “এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’। তাঁর ছিল সহজ আর্তি—‘ঈশ্বর, আমি তোমার কাছে কিছু চাই না/ তুমি শুধু একটা কবিতাকে বাঁচিয়ে দাও’৷ আজ বাংলার অন্যতম বাঙালি কবি ও কথাসাহিত্যিকের জন্মদিন। আজ নবারুণ ভট্টাচার্যের জন্মদিন।
এতগুলো বছর পেরিয়ে, এতগুলো মৃত্যুবার্ষিকী পেরিয়েও তিনি রয়ে গিয়েছেন তাঁর স্পর্ধায়। বারবার কিছু প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন বাঙালির কাছে। লেখিকা মহাশ্বেতা দেবী এবং নাট্যকার বিজন ভট্টাচার্যের পুত্র ১৯৯৭ সালে সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার ও বঙ্কিম পুরস্কার (১৯৯৬) গ্রহণ করেন। তাঁর লেখা ‘হারবার্ট’, ‘কাঙ্গাল মালসাট’ ইত্যাদি বিখ্যাত সব উপন্যাস নিয়ে তৈরি হয় ছবি। তাঁর গল্পের অন্যতম নায়ক ডিএস, মদন ও কবি পুরন্দর ভাটরা ভাট বকে না, হকের কথা বলে।
যে হকের জন্য মানুষ লড়াই করে রোজ। “বড়লোকের গাড়ির টায়ার/ ফুটো করে লাগাও ফায়ার/ নজরটুকু রাখবে যেন/ আঁচটুকু না লাগে আয়ার”। এত সব সত্যি কথা বাঙালি কি বুঝতে পেরেছে? গায়ে মেখেছে কবিতার উষ্ণতা? আজ প্রিয় লেখক নবারুণ ভট্টাচার্যের জন্মদিনে এক আক্ষেপের প্রকাশ হল অভিনেতা রাহুলের পোস্টে। জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে রাহুল লেখেন, ‘যাকে পেয়েছি অনেক…গ্রহণ করতে পারিনি কিচ্ছুই’।
এইসব লোক মরে গেছে।
মরে বেঁচে গেছে।কোথায় আছে কে জানে!
যেখানেই থাক,বিরাট হয়ে আছে।আজ নবারুণ ভট্টাচার্য'র জন্মদিন। pic.twitter.com/CgIJOFExsq
— Anirban Bhattacharya (@AnirbanSpeaketh) June 23, 2020
৩১ জুলাই, ২০১৪, এক বৃহস্পতিবার বিকেলে ঠাকুরপুকুর ক্যানসার হাসপাতালে মারা যান সাহিত্যিক নবারুণ ভট্টাচার্য। গত বছর আজকের দিনে অভিনেতা অনির্বাণ ভট্টাচার্যও প্রিয় সাহিত্যিককে নিয়ে লিখেছিলেন কয়েক লাইন। তিনি লেখেন, ‘এইসব লোক মরে গেছে। মরে বেঁচে গেছে। কোথায় আছে কে জানে! যেখানেই থাক,বিরাট হয়ে আছে। আজ নবারুণ ভট্টাচার্য’র জন্মদিন।‘ শেষে জুড়ে দিয়েছিলেন কবির লেখা ‘ট্যাক্সি আর ট্যাক্সি ড্রাইভার’ কবিতাটি।