বুধবার দ্য কেরালা স্টোরি নিষিদ্ধ প্রসঙ্গে প্রথমবার মুখ খোলেন পরিচালক তথা তৃণমূল বিধায়ক রাজ চক্রবর্তী। সিনেমার পক্ষে সওয়াল করে এদিন পরিচালক বলেন, ”এক-একটি রাজনৈতিক দলের এক-এক ধরনের স্ট্র্যাটেজি থাকে; নানাভাবে দলকে পরিচালনা করা হয়।” এরপরই রাজের সংযোজন, “আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকেই সব জায়গায় টার্গেট করা হয়। আমাদেরই সব জায়গায় নানা ধরনের বিষয়ে ব্যবহার করা হয়।” এরপরই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় বিভিন্ন মহলে। এরই মাঝে বিরোধী দলকর্মী তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন। রাজকে সমর্থন করে বললেন, ‘রাজ শিরদাঁড়ার দামটুকু জানেন’।
এদিন রাজ বলেন, ”কোন সময় কোনটা করলে ভাল হয়, তা অনেক দলই জানে। মানুষকে কীভাবে মোটিভেড করতে হয়, সেটাও অনেকে জানেন। আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে টার্গেট করা হয়। আমাদেরকেই সেক্ষেত্রে নানারকম সাবজেক্টের মধ্যে ব্যবহার করা হয়।” এরপর TV9 বাংলা রুদ্রনীল ঘোষের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ”আমি যতটুকু শুনলাম, তাতে এটা বুঝলাম যে পশ্চিমবঙ্গে আমাদের ইন্ডাস্ট্রিকে টার্গেট করা হয় রাজনৈতিক কারণে, সেটা ওনার মুখ থেকে বেরিয়ে এল। এটা খুব সত্যি কথাই। আমরা যেই হই না কেন, রাজ চক্রবর্তীর পরিচয় তো তৃণমূল পার্টির জন্য হয়নি, রাজ চক্রবর্তীকে পরিচালক বানিয়েছেন মানুষ, তাঁর পরিশ্রমের মধ্যে দিয়েই। এবার একটা ছবি, যা সেন্সর বোর্ডের সার্টিফিকেট নিয়ে বেরিয়ে চলে এসেছে, সেটাকে আটকানোর কোনও করণ বা কোনও অযুহাত থাকতে পারে না। তারপরও রাজ চক্রবর্তী যে দলে রয়েছেন, সে দলে, চাকরি প্রাণ, গরু সব চুরি হচ্ছে, কষ্ট হলেও রাজ চক্রবর্তীরা মুখ খুলে বলতে পারছেন না। তৃণমূলে যুক্ত প্রচুর মানুষ রয়েছেন, যাঁরা বাধ্য হন অমর্ত্য সেনের বাড়ি গিয়ে ছবি আঁকতে। কেউ কিন্তু ছবি আঁকতে চান না। তাঁরা আসলে তৃণমূল দল, যা যা খুশি করে যাচ্ছে, তার সঙ্গে তাল যদি না মেলায়, তাহলে তাঁদের জীবনে অনেক অসুবিধে তৈরি হবে। তাই তাঁরা একসঙ্গে রয়েছেন। রাজ চক্রবর্তীর মতো অনেকেই রয়েছেন, যাঁরা শিরদাঁড়ার দামটুকু জানেন। তাঁরা যে তাঁদের দলে ব্যবহারের শিকার হয়েছেন, তা মানতে মানতে শেষ পর্যায় এসে পৌঁছিয়েছেন। তাঁর তাঁর মুখ দিয়ে মনে হয় কথাগুলো বেরিয়েছে। আর এ কথা তো সত্যি।”