Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

অবশেষে কাটল জট, কাল থেকে পুরোদমে শুরু টেলিপাড়ার শুটিং

বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি অনুসারে শুটিং শুরু কথা থাকলেও ফেডারেশন-প্রযোজক সংঘাতের জেরে থমকে ছিল টলিপাড়ার শুটিং। বিধি নিষেধ মেনে শুটিংয়ের অনুমতির পরেও পুরোদমে শুরু করা যায়নি শুটিং।

অবশেষে কাটল জট, কাল থেকে পুরোদমে শুরু টেলিপাড়ার শুটিং
শুটিং চলছে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 18, 2021 | 2:26 PM

দেবপ্রিয় দত্ত মজুমদার:  দিন কয়েক ধরে চলা আলোচনা-বৈঠকের পর অবশেষে কাটল জট। শুক্রবার থেকে শুরু হতে চলেছে টলিপাড়ার শুটিং। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নেতৃত্বে ও রাজ চক্রবর্তী এবং পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে দফায় দফায় প্রযোজক এবং চ্যানেল এবং ফেডারেশনের বৈঠকের পরে সমস্যা মিটলেও আগামী ২৪ তারিখ সমস্ত সংগঠনগুলো আরও একবার আলোচনায় বসবে।

বুধবার মুখ্যমন্ত্রীর অনুমতি অনুসারে শুটিং শুরু কথা থাকলেও ফেডারেশন-প্রযোজক সংঘাতের জেরে থমকে ছিল টলিপাড়ার শুটিং। বিধি নিষেধ মেনে শুটিংয়ের অনুমতির পরেও পুরোদমে শুরু করা যায়নি শুটিং। ফ্লোরে শিল্পীরা মেকআপ নিয়ে রেডি থাকলেও দেখা পাওয়া যায়নি টেকনিশায়ানদের। সমাধানসূত্র বার করতে এবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের দ্বারস্থ হয়েছিল টেলিভিশন প্রযোজকদের সংগঠন ডব্লিউএটিপি।

সমস্যার সূত্রপাত কার্যত লকডাউনের পরেই। প্রযোজক-চ্যানেল শুরু করেছিলেন শিল্পীদের দিয়ে বাড়ি থেকেই শুট করানোর ব্যবস্থা। তাতেই আপত্তি জানিয়েছিল ফেডারেশন। ফেডারেশন অভিযোগ করেছিল ‘শুট ফ্রম হোম’ হলে সমস্যায় পড়তে পারেন কলাকুশলীরা। যদিও প্রযোজকরা জানিয়েছিলেন যে সব টেকনিশিয়ান শুট ফ্রম হোমে সামিল হতে পারছেনও না, তাঁদের জন্যও পারিশ্রমিকের ব্যবস্থা করবেন তাঁরা। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যেই জল গড়িয়েছিল অনেক দূর। এরই মধ্যে শুট ফ্রম হোমে নিয়মভঙ্গের অভিযোগে দিন দুয়েক আগে ফেডারেশনের পক্ষ থেকে নয়টি প্রশ্ন করা হয় প্রোডিউসারস গিল্ডকে।

shooting

প্রতীকী ছবি।

ফেডারেশনের মূল অভিযোগ ছিল শুট ফ্রম হোমের নামে বাইরে গিয়ে শুট করা হচ্ছে। ওই নয়টি প্রশ্নের জবাব কুড়িটি ধারাবাহিকের প্রযোজকদের কাছ থেকে লিখিত ভাবে চেয়ে পাঠান তাঁরা। যদিও প্রযোজকদের তরফে ওই প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়নি। ফেডারেশনও জানিয়েছিল উত্তর না পেলে ‘অসহযোগ’-এর পথে হাঁটবেন তাঁরা।

সেই মতোই সোমবার মুখ্যমন্ত্রী ১৬ জুন থেকে ৫০ জন কর্মী নিয়ে পুনরায় শুট চালু করার অনুমতি দেওয়ার পরেও বুধবার আসেনি অধিকাংশ টেকনিশিয়ানরা। এর পরেই বুধবার সাংবাদিক বৈঠকের ডাক দেন প্রযোজকরা। সাংবাদিক সম্মেলনে প্রযোজক সানি ঘোষ রায় বলেন, “আমরা সবাই মিলে কাজ করে এই জায়গায় এসেছি। জোর করে ভয় দেখিয়ে টেকনিশিয়ানদের তুলে নেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে কাজে এলে গিল্ডের সদস্যপদ বাতিল করে দেওয়া হবে। আবারও বলছি কলাকুশলীদের পাশে আছি আমরা। আমাদের থেকে ভাল ওঁদের আর কেউ বুঝবে না।”

অনদ্যিকে এই তর্জা নিয়ে শান্তিলাল মুখোপাধ্যায় ফেডারেশনের সভাপতি স্বরূপ বিশ্বাসকে নাম না করেই কটাক্ষ করে বলেন, “সবার কাজ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে এমন এক শক্তির দ্বারা যার সঙ্গে ইন্ডাস্ট্রির কোনও যোগই নেই। এই ভয়টাই পেয়েছিলাম আগে। যিনি এটা করছেন তাঁর অন্য সংগঠন আছে, তিনি আমাদের ভাতের থালায় লাথি মারছেন কেন?” অচলাবস্থা কাটাতে বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর অবশেষে স্বস্তি। কাল থেকে আবারও টলিপাড়ায় আবারও শোনা যাবে লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন…।