শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়, এক কথায় বলতে গেলে যাঁকে নিয়ে এখন টলিপাড়ায় চর্চা তুঙ্গে। একের পর এক ভাল অভিনয় দর্শকদের উপহার দিয়ে পাল্টে ফেলেছেন নিজের জ্যঁর। না, কেবল বাণিজ্যিক ছবি নয়, তিনি যে কম বেশি সব ঘরানার ছবিতেই সাবলীল, তা নিজেই প্রমাণ করেছিলেন অভিনেত্রী। চরিত্রের সঙ্গে শুভশ্রীর সেই নতুন সমীকরণই ভক্তরা আজ পরতে-পরতে উপভোগ করছেন। যার অন্যতম প্রমাণ হল ইন্দুবালার ভাতের হোটেল। এই সিরিজে ঝড় তোলেন শুভশ্রী তাঁর অনবদ্য অভিনয় গুণে। তবে এতো গেল সবই গুনের কথা। তাই বলে কি কোনও বদভ্যাসই নেই শুভশ্রীর? নিজেই সে তথ্য ফাঁস করেছিলেন অভিনেত্রী। জানিয়েছিলেন তিনি বাড়ি ফিরেই নিজের ফোন সাইলেন্ট করে দেন।
যার ফলে কেউ ফোন করলে তিনি বুঝতে পারেন না সব সময়। এটা নিয়ে অভিযোগও অনেকের। তাই নিজের বদভ্যাস বলতে তিনি এই বিষয়টাকেই তুলে ধরেন। শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায় বরাবরই স্পষ্টবাদী। তিনি প্রতিটা পদে নিজের মন্তব্য সাফ সকলের সামনে রাখতে দ্বিধা বোধ করেন না। ঝড়ের গতিতে ভাইরাল তাঁর ইন্দুবালার প্রতিটা দৃশ্য। প্রথম ওটিটি সিরিজে কাজ করেই তাক লাগিয়েছেন তিনি। চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন নিজের বয়সকেও।
কেবল সিনেদুনিয়া নয়, সংসারও করছেন তাঁরা দিব্যি। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলেই নিত্যদিন যার আভাস মেলে। ব্যতিক্রম ঘটতে দেখা যায় না কারও ক্ষেত্রেই। একে অপরকে নিয়ে প্রশংসা করার কোনও যুক্তিও ছাড়েন না তাঁরা। তবে এতো গেল ওপর-ওপর। বাস্তবে তাঁদের সংসার জীবন ঠিক কতটা সুখের? রাজকে বিয়ে করে কেমন আছেন শুভশ্রী? এবার নিজেই জানিয়েছিলেন শুভশ্রী, তাঁর সম্পূর্ণ জগতাই ইউভান ও রাজকে ঘিরে। রাজ চক্রবর্তীর সঙ্গে সম্পর্কে আসার পর থেকেই কেরিয়ার গ্রাফে বিস্তর বদল এসেছে শুভশ্রী গঙ্গোপাধ্যায়ের। পাল্টেছে ছবির ঘরানা, পাল্টেছে তাঁর অভিনয়ের ভাঁজ। শুরু শুভশ্রী আর আজকের শুভশ্রীর মধ্যে পার্থক্যটা ভীষণ স্পষ্ট।