বেশ ভয়েই আছেন সঞ্চালক সুদীপা চট্টোপাধ্যায় (Sudipa Chatterjee)। আর বেশিদিন নেই। খুব তাড়াতাড়ি তাঁর বালিগঞ্জের বাড়িতে রাম-রাবণের যুদ্ধ লাগতে চলেছে– এই ভয়েই কার্যত শঙ্কিত তিনি। কিন্তু কেন এই ভয়? রাম-রাবণের যুদ্ধ লাগার নেপথ্যের কারিগরই বা কারা? ছবি দিয়েই সে কথা জানালেন তিনি। ইদানিং তাঁর বাড়িতে মা-বাবা-ছেলে মেয়ে মিলিয়ে পাঁচ জনের এক পরিবার রোজ আসতে শুরু করেছে। শীত পড়তেই তাঁদের আসার পরিমাণও যেন বেশ খানিকটা বেড়েই গিয়েছে। প্রথমে ধপ করে এসে সুদীপার ছাদে তারপর তাঁর ছাদের বাগানে চলে সেই পরিবারের দাপাদাপি। খাবার চায়, করে হইহই। আর এ সবই একেবারেই পছন্দ নয় সুদীপার আদরের পোষ্য ভান্টু। সুদীপার ছাদের বাগান যদি তাদের দাপটে নষ্ট হয়ে যায়– সে চিন্তাই এখন গ্রাস করছেন তাকে। ওই পরিবার কিন্তু মনুষ্য জাতির নয়। তারা পাঁচ সদস্যের হনুমান পরিবার। সুদীপা লিখছেন, “আজকাল প্রায়ই এই হনুমানের দলটি,প্রথমে ধপ্ করে এসে,ছাদে (আমার সাধের বাগানে) এসে পড়ে- কিছুক্ষন দাপাদাপি করে,ভান্টু-বাঁটুলকে-গলুকে (আমাদের আদরের তিনটি কুকুরকে) দাঁত খিঁচিয়ে, ঠিক এই জানলায়- যেখানে ফ্রিজ আছে,সেখানে এসে হইহই করে। হনুমানের এত ভালো পর্যবেক্ষন ক্ষমতা যে সে ঠিক ধরে ফেলেছে- ফ্রিজেই খাবার থাকে। এরা একটা গোটা পরিবার।”
সুদীপা অবশ্য নিরাশ করেন না তাঁদের। জানলা দিয়েই তুলে দেন খাবার। শুধু সুদীপাই বা কেন? তাঁর সন্তান আদিদেবের কাছ থেকেও খাবার খেয়ে যায় ওই পরিবার। সেই ছবিও শেয়ার করেছেন সুদীপা। মফঃস্বলে বড় হয়ে উঠেছেন সুদীপা। তাদের বরাহনগরের বাড়িতেও দেখা মিলত বানরসেনার। এ যেন আবারও সেই ছোটবেলাকেই খুঁজে পাওয়া। এত অবধি ঠিকই ছিল তবে সমস্যা ওই একটাই। সুদীপা যোগ করেন, “আমার ছাদের বাগানের ওপর ওদের নজর- মোটেই পছন্দ হয়নি ভান্টু বাবাজীবনের। খুব শিগগিরি,একটা রাম-রাবণের যুদ্ধ লাগলো বলে। সেই ভয়েই কাবু হয়ে আছি।” আর যুদ্ধ লাগলে ভান্টুকে যে বানরসেনা যে কোনও মুহূর্তে চড় কষিয়ে দিতেই পারে, সেই ভয়েই কার্যত শঙ্কিত তিনি।
বহুদিন ধরে সঞ্চালকের ভূমিকায় কাজ করছেন সুদীপা। তাঁর শাড়ির ব্যবসাও রয়েছে। স্বামী পরিচালক। তবে মাঝেমধ্যেই বিবিধ কারণে ট্রোলের মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। পড়তে হয় নেটিজেনদের রোষানলে। সামাজিক মাধ্যমে তাঁর ক্রিয়াকর্ম নিয়ে হয় রীতিমতো কাটাছেঁড়া। তাতে যদিও খুব একটা পাত্তা দেন না তিনি। সুদীপা দিন কাটান নিজের শর্তে।