‘ডাকঘর’ সিরিজ়ের পূর্ব পরিচালক এবং সিনেমাটোগ্রাফার ছিলেন অভিষেক সাহা এবং মৃন্ময় নন্দী। তাঁদের দাবি, একদিন হঠাৎই সকালে উঠে জানতে পারেন, সিরিজ়ের শুটিং হচ্ছে, কিন্তু সেই শুটিংয়ে বাদ পড়েছেন অভিষেক-মৃন্ময়। অর্থাৎ, তাঁদের বাদ দিয়েই অন্য পরিচালক (অভ্রজিৎ সেন) এবং সিনেমাটোগ্রাফারকে (শান) নিযুক্ত করে শুটিং করা হচ্ছে। অনুজাত হিসেবে নাকি তুলে ধরা হয়ে ‘ক্রিয়েটিভ ডিফারেন্সের’ প্রসঙ্গ। এই ঘটনার পর মনমরা অভিষেক নিজেকে একেবারে গুটিয়ে নেন। এমনকী, জিজ্ঞেস করার পর সিরিজ় থেকে নিজের নামটাও সরিয়ে ফেলতে বলেন। কিন্তু পরবর্তীতে যখন দেখতে পান তাঁর এবং তাঁর পরিচালনায় মৃন্ময়ের শুট করা সিংহভাগ শটই রেখে দেওয়া হয়েছে সিরিজ়ে, তখন আরও ভেঙে পড়েন। তাঁদের দাবি – যোগ্য সম্মান তো দূর, প্রাপ্য পারিশ্রমিক থেকেও বঞ্চিত এই দুই টেকনিশিয়ান। এ সবের প্রতিবাদে দিন দুই আগেই ফেসবুক পোস্ট করেন মৃন্ময় এবং অভিষেকের স্ত্রী অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী। মৃন্ময়ের মতো টেকনিশিয়ানের যন্ত্রণাকে একটি ফেসবুক ভিডিয়ো মারফত তুলে ধরেছিলেন অভিনেতা অরিত্র দত্ত বণিকও।
মৃন্ময় সরাসরি জিজ্ঞেস করেছিলেন তাঁর নামটা অন্তত ব্যবহার করা হয়েছে কি না। একজনের থেকে জানতে পেরেছিলেন, সিংহভাগ শট তাঁর ব্যবহার করা সত্ত্বেও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নাম। কিন্তু তখনও তিনি নিজ চোখে দেখেননি বিষয়টি। কিন্তু পরে দেখেন যখন, আরও একটি বিষয় নজরে আনেন সকলের। ‘ডাকঘর’-এর এন্ড কার্ডে তাঁর নাম যাচ্ছে ঠিকই, কিন্তু ‘CINEMATOGRAPHER’ শব্দটির বানানটাই ভুল যাচ্ছে। যাচ্ছে, ‘CINEMATORGRAPHERS’। তাতে ফের আহত হয়েছেন মৃন্ময়। মনে করছেন, তাঁদের মতো টেকনিশিয়ানদের নিয়ে অ-যন্তবান এই ইন্ডাস্ট্রি। তাঁদের ভাবাবেগে আঘত লাগে যে কারণে।
স্ক্রিন শট তুলে তিনি ফেসবুকে লিখেছেন, “CINEMATORGRAPHERS – বানানটা আর একবার মন দিয়ে পড়ুন। না, আমি দাবি করছি না নির্মাতারা CINEMATOGRAPHERS শব্দের বানান জানেন না। এটা সামান্য অসাবধানতাজনিত ভুল। আমি যে দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাইছি, সেটা হল আসলে নির্মাতারা (ইন্ডাস্ট্রি) টেকনিশিয়ানদের কি চোখে দেখেন। বাকিটা আপনারা বুঝে নিন…”
সেই সঙ্গে মৃন্ময় আরও বলেছেন, এতকিছু ঘটে যাওয়ার পরও বকেয়া টাকা পাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি প্রযোজকের থেকে সাড়া পাননি। লিখেছেন, “আমি এখনও আমার পারিশ্রমিক সংক্রান্ত কোনও সদুত্তর পাইনি। আমি কী করব, আপনারা বলে দিন।”