ছাত্রজীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা শুরু হয়েছে। সেই পরীক্ষার নাম মাধ্যমিক। বৃহস্পতিবার ছিল প্রথমদিনের পরীক্ষা। এ বছর মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৯২৮। পরিসংখ্যান বলছে, ছাত্রদের থেকে এবার ছাত্রীদের সংখ্যা বেশি। সে যাই হোক, মাধ্যমিক পরীক্ষা বলে কথা। হাতের তালু ঘেমে যাওয়ার মতো টেনশন করার সময়। এই পরিস্থিতিতে মনোবল বাড়িয়ে দেওয়ার মতো কিছু ঘটলে ভালই লাগার কথা, তাই নয় কী। ছাত্রছাত্রীদের সেরকমই মনোবল বাড়িয়ে দিয়েছে অভিনেতা জিতু কামাল। কামাল করা একটি পোস্ট তিনি করেছেন নিজের সামাজিক মাধ্যমে।
১৯ বছর আগে, অর্থাৎ, ২০০৪ সালে মাধ্যমিক পরীক্ষান দিয়েছিলেন জিতু। সেই স্মৃতি ঘাঁটতে গিয়ে জিতু লিখেছেন, “আজ হতে ঠিক ১৯ বছর আগে,হ্যাঁ ১৯ বছর আগে। দেশবন্ধু গভর্মেন্ট হাই স্কুলের তিন তলার সাত নম্বর রুমের চতুর্থ বেঞ্চের ডান দিকে রোল B539××, নং 038× লেখা। ওটাই ছিল আমার সিট। বাবা আমাকে সাইকেলে করে ছাড়তে এসেছিল পরীক্ষা কেন্দ্রে। চোখে অনেক স্বপ্ন, জীবনে প্রথমবার বড় পরীক্ষা। না না না, এই সব কোনও কিছুই মাথায় আসেনি। খুব সহজ-সরল বিশ্বাসে আর দশটা পরীক্ষার মতোই আমার মাধ্যমিক পরীক্ষা দেওয়া। আজও সেই মানসিকতা পাল্টাতে পারিনি। বড় কাজ, ছোট কাজ কিছুই মাথায় আসে না। ভাল করে প্রদেয় কাজটা করতে পারছি কি না, সেটাই মাথায় ঘোরে সর্বদা। কে ল্যাং মারছে, কে ফুটেজ নিয়ে নিচ্ছে, কে সিন কেটে দিচ্ছে, কে ডাবিং করতে দিচ্ছে না, কে শুধুই ব্যবহার করে চলেছে, এই সব কিচ্ছু প্রশ্রয় পায়নি আমার কাছে। ঠিক মতো শুধু কাজটুকু করতে পারব কি না, সেটাই আজও আমাকে বিগত ১৯ বছর আগের মতো রাতের ঘুম কেড়ে নেয়। আনুমানিক ৬,৯৮,৬২৮ জন পরীক্ষার্থীকে শুভ কামনা। ভাল হোক আগামী জীবন। বুদ্ধিদীপ্ত হও।”
জিতু কামাল এখন বাংলার সেই অভিনেতা যাঁর নামের সঙ্গে জড়িয়ে গিয়েছে সত্যজিৎ রায়ের নাম। অনীক দত্ত পরিচালিত ‘অপরাজিত’ ছবিতে জিতুকে দেখা যায় সত্যজিতের আদলে তৈরি অপরাজিত রায়ের চরিত্রে। অস্কারজয়ী পরিচালকের ‘পথের পাঁচালী’ ছবি তৈরির কাহিনি বর্ণনা করেছি ‘অপরাজিত’।