দস্তুর মত চালাচ্ছিলেন শুটিং, কাজ বড় পছন্দের ছিল অভিষেক চট্টোপাধ্যায়ের, বারে বারে ফিরে আসতে চেয়েছিলেন ক্যামেরার সামনে। জায়গা করে থাকতে চেয়েছিলেন প্রিয় দর্শকদের মনে। কখনও একের পর এক হিট, কখনও আক্ষেপ, জীবনে নানা ওঠাপড়ার অধ্যায় জড়িয়ে থাকা অভিষেক চট্টোপাধ্যায় আজ চিরনিদ্রায়। খবর সামনে আসতেই চোখের জল যেন ধরে রাখার নয়। ভক্তমহল থেকে শুরু করে সিনেদুনিয়ার সেলেবমহল, সকলেই শোকস্তব্ধ। এ শোক মেনে নেওয়ার নয়।
এখনও অনেকটা পথচলার ছিল বাকি, এখনও অনেকটা অধ্যায় ছিল গল্প হওয়ার, অভিষেক চট্টোপাধ্যায় লাইট-ক্যামেরা অ্যাকশন ঠিক যতটা পছন্দ করতেন, জীবনের শেষ বেলাতেও ঠিক ততটাই একাগ্রতা দেখিয়ে চলে গেলেন চিরতরে। সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় চোখ রাখলেই স্পষ্ট হয়ে যায় বাংলা চলচ্চিত্র জগতের মনের অবস্থা। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, চিরঞ্জিত ও অভিষেক চট্টোপাধ্যায়, একসময় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে টলিউডকে তরতাজা করে রাখার শপথ নিয়েছিলেন। বাংলা সিনেমা যখন ধুঁকছে, ঠিক সময় মানুষকে প্রেক্ষাগৃহে ফেরানোর উদ্দেশে ছিলেন বদ্ধপরিকর। সেই জনপ্রিয় অভিনেতা আজ শেষযাত্রায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকজ্ঞাপন করে অভিনেতা ভাস্বর চট্টোপাধ্যায় লিখলেন- অভিষেক দা আমি এটা মানতে পারছিনা। আমার অসম্ভব কষ্ট হচ্ছে, কান্না পাচ্ছে। আলো তে তোমার কাছে তরুণ মজুমদার এর গল্প শোনা,একসাথে সিন এর রিহার্সাল করা।আলোর পর যখন রাজমহল করলাম তখন একটা চড় মারার সিন ছিল,টেকের পর তুমি বলেছিলে বাবু তোর লাগেনি তো। এই জেসচার ভোলার নয়। সাই বাবার ভক্ত ছিলে তো তাই বাবা তার সন্তান কে কাছে টেনে নিল বোধহয়।
একইভাবে শোকজ্ঞাপন করেছেন পরিচালক অরিন্দম শীল, লিখলেন মিঠু! এটা খুব দুঃখজনক ঘটনা, আত্মার শান্তি কামনা করি।
অভিনেতা জিতু কমলও সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় শোকবার্তায় স্মরণ করলেন অভিনেতাকে, মিঠু দা , এতো বড় সিদ্ধান্ত নেবে সেটা গতকাল বুঝতেই দিলে না.. ভালো হলো না সিনিয়র..
অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় শোকজ্ঞাপন করে লেখেন, কিছু বলার নেই মিঠু দা।