তিনি বলেছিলেন, ‘বউ হারালে বউ পাওয়া যায় রে পাগলা…’– সেই ডায়লগ আজও সুপারহিট। শুধু হিটই নয়, সমালোচকদের বক্তব্য, হালফিলে সেই সংলাপের প্রয়োগ যেন আরও বেশি করে হচ্ছে। সম্প্রতি পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় ও পিয়া চক্রবর্তীর বিয়ে নিয়ে যখন হচ্ছে নানা আলোচনা তখন সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়ে এই নিয়েই মুখ খুললেন ‘বউ হারালে’র নায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীও। মধ্যমগ্রামে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন চিরঞ্জিৎ। সেখানে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি।
সাম্প্রতিক এই বিয়ে নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে চিরঞ্জিৎ বলেন, “আমি তো বলেইছিলাম… বউ হারালে বউ পাওয়া যায় রে। এখন চারিদিকে দেখছি বউ হারাচ্ছে আর পাচ্ছে, পাচ্ছে আর হারাচ্ছে… আদিপুরুষের সেই ডায়লগ বহু বছর আগেই বলে দিয়েছি সেটাই আবার বলে দিলাম। বহু বছর ধরে এই কথাই তো হিট।” তাঁকে ফের প্রশ্ন করা হয়, অভিনেতার সেই সংলাপেরই তবে বাস্তবায়ন হল সম্প্রতি? এক মুহূর্ত চিন্তা না করেই চিরঞ্জিতের বক্তব্য, “সব সময়ই হচ্ছে, এখন একটু ঘনঘন হচ্ছে, এই আর কী।”
দিন কয়েক আগে বিয়ে করেছেন অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়। তাঁর স্ত্রী পিয়া চক্রবর্তী, যিনি পেশাগত দিক দিয়ে মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী ও সঙ্গীতশিল্পীও। পিয়ার আরও এক পরিচয় রয়েছে, তিনি গায়ক ও সুরকার অনুপম রায়ের প্রাক্তন স্ত্রী। পরম ও অনুপমের একদা সখ্যের কারণে পিয়া চক্রবর্তীকে দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে একাধিক কটাক্ষের সম্মুখীন হতে হয়েছে। সম্প্রতি সামাজিক টক্সিসিটি অর্থাৎ নেতিবাচকতা নিয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। সমাজমাধ্যমের এক কমেন্ট বক্সে তিনি লেখেন, “ট্রোলিং অত্যন্ত টক্সিক। নিজের অন্তর্জগতটা বা ইনার সার্কল-টা যদি সুন্দর থাকে, যদি আনন্দে আর শান্তিতে থাকে—এই সবগুলো কেমন ধুলোর মতো মিলিয়ে যায়। তাই আমাকে একদম স্পর্শ করে না আর এগুলো। অনেকগুলি কষ্টের অগ্নিপরীক্ষা দিয়ে আমি এতে উপলব্ধ হয়েছি।”