বছর শেষ হতে চলেছে। তার আগেই করোনার নতুন আতঙ্ক গোটা পৃথিবীতে। দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ওমিক্রন সংক্রমণ। এই ভ্যারিয়েন্টে ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্বের ১১৭টি দেশে। এখনও পর্যন্ত দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ৬০০ পেরিয়েছে। উদ্বেগের বিষয় তো বটেই। রাজধানী দিল্লিতেও অবস্থা উদ্বেগজনক। জারি হয়েছে হলুদ সতর্কতা। তার মাঝে মঙ্গলবার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সরকার সেখানকার সবকটি প্রেক্ষাগৃহ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে। কেবল তাই নয়, ৫০ শতাংশ নিয়ে রেস্তরাঁ খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেজরীর সরকার। সোমবার দিল্লিতে নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ৩৩১ জন। ৬ জুনের পর একদিনে যা সবচেয়ে বেশি। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না চলে যায়, সেই কারণেই এই আগাম সতর্কতা। সাফ জানিয়েছে কেজরীওয়ালের সরকার। কিন্তু কেন বার বারই প্রেক্ষাগৃহ বন্ধের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, যেখানে ধর্মীয় সমস্ত রীতিনীতি, উৎযাপন মানা হচ্ছে, লোকে ভিড়ও করছেন আচর, অনুষ্ঠানে। গা ভাসাচ্ছেন উৎসবে, উদ্দীপনায়।
করোনা পরিস্থিতি খানিক স্বাভাবিক হওয়ায় আশার আলো দেখতে শুরু করেছিল দেশের বিনোদন জগৎ। হল খুলেছে। দর্শকও আসছে হলে। চওড়া হাসির রেখা নির্মাতা, ডিসট্রিবিউটর ও হল মালিকদের মুখেও। এই পরিস্থিতিতে যদি ফের সবকিছু বন্ধ হয়ে যায়, ফের অনিশ্চয়তার কালো মেঘ ঘনিয়ে আসবে কর্মীদের জীবনে। বাংলাতেও পড়তে পারে এর প্রভাব। কিছুদিন আগে মুক্তি পেয়েছে দেবের ছবি ‘টনিক’। আরও বেশকিছু ছবি মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এই অনিশ্চয়তা ভ্রু কুঁচকে দিয়েছে অনেকের। এ বিষয়ে TV9 বাংলাকে কী বললেন শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, মৈনাক ভৌমিকের মতো পরিচালকরা?
কিছুদিন আগে ‘একান্নবর্তী’ ছবিটি মুক্তি পেয়েছে মৈনাকের। বেশ ভাল ব্যবসা করছে ছবিটি। দিল্লিতে সিনেমা হল বন্ধের খবর পেয়ে বেশ উদ্বিগ্ন তিনি। TV9 বাংলার তরফ থেকে যোগাযোগ করা হলে মৈনাক বলেছেন, “এটা খুবই আনফেয়ার। এই যে সারাক্ষণ মাস গ্যাদারিং হচ্ছে। চতুর্দিকে পার্টি হচ্ছে। পুজো থেকে দিওয়ালি, ক্রিসমাস হয়ে গেল, ওমিক্রন তো সত্যি এসেছে। এটা নিয়ে তো নতুন কিছু বলার নেই। আর যদি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়াই হয়, সব ক্ষেত্রে হোক।”
সামনেই উইন্ডোজ়ের বেশকিছু ছবি মুক্তি পাওয়ার কথা। ৪ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে যিশু সেনগুপ্ত অভিনীত ‘বাবা বেবি ও’। অনেকদিন পর নন্দিতা রায় ও শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হাউজ়ের একটি ছবি দেখবেন দর্শক। ‘হামি টু’ ছবির শুটিংয়ের মাঝেই TV9 বাংলাকে শিবপ্রসাদ বলেছেন, “আমার সত্যিই আর কিছু বলার নেই। আমাদের কাছে এটা সাংঘাতিক বড় সেটব্যাক। সকলে এটাই ধরে নিয়েছেন সিনেমা হল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গেলেই করোনা হবে। আর কোথাও গেলে হবে না। ভোট দিতে গেলেও না।”
আরও পড়ুন: Cinema Hall: ‘হলুদ সতর্কতা’ জারি রাজধানীতে, ফের বন্ধ সিনেমা হল