Aparajito Controversy: ‘অপরাজিত’ নন্দনে দেখানো উচিত, সমর্থন করলেন সত্যজিৎ পুত্র সন্দীপ রায়

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sneha Sengupta

May 14, 2022 | 2:15 PM

Sandip Ray-Aparajito: নন্দনের লোগো ডিজ়াইন করেছেন সত্যজিৎ রায়। নন্দনের উদ্বোধনও করেছেন তিনিই। এদিকে 'অপরাজিত'র মতো একটি ছবি নন্দনে দেখান হচ্ছে না। সন্দীপ রায় বললেন...

Aparajito Controversy: অপরাজিত নন্দনে দেখানো উচিত, সমর্থন করলেন সত্যজিৎ পুত্র সন্দীপ রায়
সন্দীপ রায়।

Follow Us

TV9 বাংলাকে সন্দীপ রায় আগেই বলেছিলেন, “আমি কিন্তু আগেই জিতুর (‘অপরাজিত’ ছবিতে জিতু কামাল) লুক দেখেছি। অনীকই আমাকে দেখিয়েছিলেন। প্রথমদিন থেকেই আমার কাছে তিনি আসছেন। যোগাযোগ রাখছেন। প্রতিমুহূর্তে আমাকে বলছেন কী-কী হচ্ছে। সিরিয়াসভাবে কাজটা করছেন।” ছবিটি ১৩ মে (শুক্রবার) মুক্তি পেয়েছে প্রেক্ষাগৃহে। ছবি দেখে সন্দীপ TV9 বাংলাকে বলেছেন, “‘অপরাজিত’ আমার খুব ভাল লেগেছে। জিতুকে বাবার (সত্যজিৎ রায়) মতোই লেগেছে।” এদিকে সরকারী প্রেক্ষাগৃহ নন্দনে ছবিটি দেখানে হচ্ছে না। যে নন্দনের সঙ্গে ভীষণভাবে জড়িয়ে আছে সত্য়জিৎ রায়ের নাম। তাঁর জীবনের প্রথম ছবি ‘পথের পাঁচালী’ তৈরির কাহিনি নিয়ে অনীক দত্ত তৈরি করেছেন এই ছবিটি। নন্দনের লোগো ডিজ়াইন করেছেন সত্যজিৎ। নন্দনের উদ্বোধনও করেছেন তিনিই। এদিকে ‘অপরাজিত’র মতো একটি ছবি নন্দনে দেখান হচ্ছে না। এবিষয়ে TV9 বাংলাকে কী বললেন সন্দীপ রায়?

সন্দীপ বলেছেন, “এটা তো একটা অন্য ডিপার্টমেন্ট দেখে। তাঁরাই ঠিক করেন কী ছবি নন্দনে দেখান হবে, কী ছবি দেখান হবে না। ফলত তাঁরাই বিষয়টা ভাল বলতে পারবেন। এ ব্যাপারে আমি তো কিছু বলতে পারব না। ছবিটা নন্দনে দেখান উচিত বলেই আমি মনে করি। নন্দনে ছবি প্রদর্শনের ব্যাপারটা যাঁরা দেখছেন, তাঁদেরই জিজ্ঞেস করা ভাল।”

প্রযোজকের ফিরদৌসুল হাসান আগেই TV9 বাংলাকে বলেছেন:

“আমরা ছবিটা জমা দিয়েছিলাম নন্দনে। সোমবার (০৯.০৫.২০২২) মিত্র চট্টোপাধ্যায়কে (নন্দনের কর্তৃপক্ষ) ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি দেখছি, দেখব…’। পরে টিকিট বুকিংয়ের অনলাইন সাইট খুলে দেখি অন্যান্য ছবির বুকিং চালু হয়েছে। সেই তালিকায় ‘অপরাজিত’র নাম নেই।

ছবিটা নন্দনে প্রদর্শনী পাওয়ার মতো যোগ্য ছবি। সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে নন্দনের একটা যোগ আছে। সবচেয়ে বড় প্রশ্ন নন্দন তৈরি হয়েছে কীসের জন্য? মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে ভাল বাংলা ছবিকে দেখানোর জন্যই তো। সব দর্শক তো মাল্টিপ্লেক্সে গিয়ে ১০০০ টাকা দিয়ে সিনেমা দেখতে পারবেন না। ফলে নন্দনে বহু দর্শক আসেন। যে ছবিটা টোরন্টো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গিয়েছে, লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে গিয়েছে, যে ছবিটা সত্যজিৎ রায়ের ১০০ বছরের জন্মদিনকে সেলিব্রেট করছে, সেটা যদি ডিসার্ভ না করে, তা হলে কোন ছবি করবে। যে ছবিগুলো চলছে সেই তুলনায় আমার ছবিটা তো প্রদর্শনীর জন্য বেশি যোগ্য। সেটাই আমি বিশ্বাস করি।

ওরা তো নতুন একটা হলও খুলল ‘রাধা’। সেখানেও তো দিতে পারত। সেখানেও তো দিল না। তবে রাজনীতি আমি বুঝি না। আমরা বাঙালি, বাংলা ছবি তৈরি করি। যে ছবিটি বাংলা ছবিকে বিশ্বের দরবার রিপ্রেজ়েন্ট করেছে, সেই ছবিটা কলকাতায় সরকারি হলে স্ক্রিনিং পাচ্ছে না, এর চেয়ে লজ্জাজনক আর কী হতে পারে।

এই ঘটনা কেন ঘটল তা সত্যি আমার জানা নেই। আমি সত্যিই খুবই অবাক হয়েছি। ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল শুরু হওয়ার আগে আমরা ছবি জমা দিয়েছিলাম। ছবি দেখে ওঁরা খুশি হয়েছিলেন। যে ক’জন দেখেছেন সকলে রেকমেন্ড করেছেন ছবিটা দেখার জন্য। এবার তো দর্শক বঞ্চিত হচ্ছেন ছবিটা দেখার থেকে।”

অন্যদিকে ছবির পরিচালক অনীক দত্ত বলেছেন, “এগুলো আমাকে কেন জিজ্ঞেস করছেন। আমার ছবিটা ওরা নেয়নি। আমাদের ওরা হল দেয়নি। সেরকমই আমি শুনেছি প্রযোজকের থেকে। ওদের স্ক্রিনিং কমিটি কিন্তু ছবিটা অ্যাপ্রুভ করেছিল। এবং সকলে আমাকে মেসেজ করেছিল। বলেছিল দারুণ লেগেছে। তারমধ্যে সরকারের কাছের লোকও আছে। কিন্তু তারপরও কেন ছবিটা দেখানো হবে সেটা আমি জানি না। যারা ছবিটাকে জায়গা দিল না তাদের জিজ্ঞেস করা উচিত কী কারণে নিল না।”

অনীক দত্তর সঙ্গে কথা বলার পর TV9 বাংলা কথা বলার চেষ্টা করে নন্দন কর্তৃপক্ষ মিত্র চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে। কিন্তু তাঁর থেকে কোনও উত্তর মেলেনি। মেসেজেরও উত্তর দেননি তিনি।

Next Article