কয়েকদিন ধরেই অভিনেতা জিতু কামাল ও অভিনেত্রী নবনীতা দাসের বিবাহ বিচ্ছেদের খবর চর্চার কেন্দ্রে জায়গা করে নিয়েছে। এই জুটির যে কখনও বিচ্ছেদ হতে পারে, তা যেন এক কথায় মেনে নিতে পারছেন না অনেক ভক্তই। তবে কেন এই পরিণতি কোনও দ্বিতীয় ব্যক্তির কারণেই কি এই বিচ্ছেদ! জিতু কিংবা নবনীতা কারও জীবনে কি কোনও অন্য সম্পর্ক উঁকি দিয়েছে! এমন প্রশ্ন উঠে এসেছে নেটিজেনদের মুখে মুখে। এবার তাঁদের বিচ্ছেদ নিয়ে একাধিক ভ্রান্ত ধারণা ভাঙতে প্রকাশে এলেন নবনীতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইভ করে তিনি জানালেন, খুব একটা ভাল লিখতে পারেন না তিনি, গুছিয়ে মনের কথা তুলে ধরাটা তাঁর কাজ নয়।
সেই কারণেই নবনীতা স্থির করলেন, মানুষের ভুল ভাঙানোর জন্য একটি ভিডিয়ো করবেন। এই ভিডিয়ো করাটা ভীষণ জরুরী ছিল। তাঁর দাবি, একটি বিচ্ছেদের কারণ সব সময় যে পরকীয়া হবে এমনটা নয়, তাঁদের ক্ষেত্রেও ঠিক সেটা হয়নি। তাঁরা দুজনে একসঙ্গে ছিলেন। একটা সময়ের পর বুঝতে পারেন তাঁরা একে অপরের সঙ্গে ভাল নেই। এরপরই মিউচুয়াল সিদ্ধান্তে তাঁরা আলাদা হওয়ার কথা ভেবেছেন। কিছু কথা কাটাকাটি মান অভিমান মেজাজ হারিয়ে ফেলা এই কারণগুলোর জন্যই একটা সময় তাঁরা ঠিক করেন একে অপরের জীবন থেকে সরে যাবেন।
এর মানে কোথাও এমনটা নয় যে জিতু জীবনে অন্য কেউ চলে এসেছে, বা নবনীতা জীবনে অন্য কোনও সম্পর্ক দেখা দিয়েছে। যে বা যারা এমনটা ভাবছেন বা বলছেন, তাঁদের জন্যই এই ভিডিয়োটি সামনে আনলেন নবনীতা। তার কথায় শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে জিতুর নাম জড়িয়ে যে খবর রয়েছে তা ভুল। তাঁর নিজেরও খারাপ লাগছে এ ধরনের চর্চা দেখে। তাই জনে জনে তো আর ভুল শুধরে দেওয়া যায় না সেই কারণেই তিনি স্থির করেন প্রকাশ্যে এসে তাঁর এই প্রসঙ্গে যা যা মত জানিয়ে দেবেন। তাঁরা গত ৩-৪ মাস আলাদাই রয়েছেv, এই সিদ্ধান্ত একান্ত তাঁদের ব্যক্তিগত। অনেকেই আছেন যাঁরা ঝুটঝামেলা মান অভিমানগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যান, অনেকে আবার জীবনটাকে আর একটা সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবেন। এক্ষেত্রে তাঁরা দ্বিতীয় পথটাই বেছে নিয়েছেন, এখানে কারও মনে কোনও প্রশ্ন বা সংশয় থাকার কথা নয়। তাঁদের নিজে নিজে চরিত্রকে এই বিচ্ছেদ কেন্দ্র করে কলুষিত করার প্রসঙ্গে প্রতিবাদ জানিয়ে এমনই মন্তব্য করেন নবনীতা।