কফি খেতে ভালবাসেন? ক্লান্ত শরীরে আপনার ঘুম কাটায় এই পানীয়। কিন্তু সেই কফি যদি তৈরি হয় গন্ধগোকুলের মল থেকে, তবে? কী ভাবছেন? এ আবার কেমন কফি? কফির পোশাকি নাম ‘কোপি লুয়াক’ বা ‘সিভেট কফি’। আকাশছোঁয়া দাম তাঁর। মধ্যবিত্তের নাগালের বাইরে। ইন্দোনেশিয়ায় গিয়ে সেই কফিতেই চুমুক বসালেন যশ দাশগুপ্ত ও নুসরত জাহান। সেই ছবিও শেয়ার করেছেন তাঁরা।
কীভাবে তৈরি হয় এই কফি? ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপই মূলত এই কফির আঁতুড়ঘর। এশিয়ান পাম সিভেট নাম প্রজাতি কফিফল খান। কিন্তু সেই কফি ফলের বীজটা হজম হয় না তাদের। সেই বীজই মল রূপে বেরিয়ে আসে তাদের শরীর থেকে। মল হিসবে নির্গত হওয়ার আগে পর্যন্ত ওই বীজের ভামের পাকস্থলীতে উৎসেচন (ফারমেন্টেশন) প্রক্রিয়া হয়। ওই ফারমেন্টেশনেই লুকিয়ে রয়েছে যত রহস্য।
বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মল থেকে বীজ আলাদা করে উনুনে সেঁকে যথোপযুক্ত উপায়ে পান করা ওই কফি। ইন্দোনেশিয়াতে গিয়ে ওই কফিই পান করেছেন যশ-নুসরত। সাক্ষাৎ হয়েছে খাঁচায় বন্দি ভামেদের সঙ্গে। এমনকি নিজের হাত কফি বীজ সেঁকেওছেন নুসরত। সেই ভিডিয়োই শেয়ার করেছেন সোশ্যাল মিডিয়াতে। কফি ভক্তদের দাবি, স্বাদে-গন্ধে ওই কফির নাকি তুলনা হয় না। যদিও মল থেকে নির্গত বলে অনেকেই এড়িয়ে চললেও যশরত জুটির এ সবে পরোয়া নেই। তাঁরা যে বেশ ভালভাবেই উপভোগ করেছেন তা জানান দিচ্ছে ইনস্টাগ্রামের শেয়ার করা ভিডিয়োটি। দেশে ফিরে এলেও ইন্দোনেশিয়াকে যে মিস করছেন তা জানিয়েছেন খোদ সাংসদই।