‘একজন চালাক মানুষ সমস্যার সমাধান করেন। আর একজন জ্ঞানী মানুষ সমস্যা এড়িয়ে যান।’ কিছুদিন আগে নিজের ছবির ক্যাপশনে এ কথাই লিখেছিলেন আপাতত কন্ট্রোভার্সিয়াল অভিনেতা যশ দাশগুপ্ত। প্রশ্ন উঠেছিল ক্যাপশনে কি ঘুরিয়ে নাক ধরতে চাইছেন অভিনেতা?
কাকে ইঙ্গিত করে এ কথা বললেন যশ তা অবশ্য খোলসা করেননি। নুসরতের বিয়ে নিয়ে মন্তব্যে কিংবা তাঁর সন্তানসম্ভবনার জল্পনায় এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেননি যশ।
অন্যদিকে নুসরত-যশের বিশেষ বন্ধুত্ব নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। এসবের মধ্যে এমন ক্যাপশনে ছবি সত্যিই নেটিজেন পাড়ায় সরগরম হয়েছিল। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে গাছপালার সঙ্গেই দিন কাটাচ্ছেন যশ। নতুন ছবি পোস্ট করলেন তাতে দেখা যাচ্ছে চারপাশে সবুজ। যশের চোখে সানগ্লাস। তিনটে ছবি পোস্ট করেছেন যশ। তাঁর মধ্যে একটিতে গাড়ি ধরে দাঁড়িয়ে আছেন অভিনেতা। ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘গাছের সঙ্গে সময় কাটানো কখনও অপচয়ের নয়…’
টলিপাড়ার গুঞ্জন বলছে, বেশ কিছুদিন আগে নাকি তাঁদের দেখা গিয়েছিল মধ্য কলকাতার এক নামজাদা বেসরকারি হাসপাতালেও। তবে এ সবের মধ্যেই ইনস্টাগ্রামে তাঁর সক্রিয়তা এতটুকু কমাননি যশ। নিয়ম করে প্রায় প্রত্যেকদিনই তাঁর রকমারি পোস্ট দেখা যাচ্ছে ভেরিফায়েড ইনস্টা অ্যাকাউন্টে। এমন কি ফ্যানমেড নানা ভিডিয়োও শেয়ার করেছেন ইনস্টা স্টোরিতেই।
এ দিকে, নুসরতের বিবৃতিতে ‘তুরস্কের বিবাহ বিধি’ এবং ‘লিভ-ইন’ সম্পর্কের যে উল্লেখ রয়েছে, তাকে কেন্দ্র করে প্রশ্ন উঠেছে, জন-প্রতিনিধি হিসেবে লোকসভার বায়োপ্রোফাইলে তাহলে ‘বিবাহিত’ এবং স্বামীর নামের জায়গায় নিখিল জৈনের উল্লেখ করলেন কেন? সংসদ ভবনে ‘আমি নুসরত জাহান রুহি জৈন’ বলে সাংসদ হিসাবে নুসরত জাহানের শপথবাক্য পাঠের যে মুহূর্তের ভিডিয়ো টুইটে শেয়ার করেছেন বিজেপির অমিত মালব্য, তাতে আরও জোরদার হয়েছে এই প্রশ্ন: জন-প্রতিনিধি হিসেবে নুসরত তাঁর ম্যারিটাল স্টেটাস সম্পর্কে যে তথ্য় পেশ করেছেন, তা আদৌ নীতিগত বলে বিবেচিত হতে পারে কি না।