‘হিরো’ প্রেমিকের ডুবন্ত কেরিয়ার, শেষমেশ জ্যোতিষীর কথায় বিয়ে ভাঙলেন নায়িকা! সিনেপাড়ায় জোর চর্চা
তাই চুপি চুপিই প্রেম করে চলেছিলেন এই তারকা। সিনেমার শুটিংয়ের বাইরে টুকটাক এদিক-ওদিক ঘুরেও বেড়িয়েছেন। শোনা গিয়েছিল, শুধু বিটাউনই নয়। দুজনের পরিবারও চাইতেন শিল্পা ও অক্ষয় বিয়ে করুক। কিন্তু নিয়তি তো অন্য গল্পই লিখেছিল তাঁদের কপালে।

বিনোদুনিয়ায় কখন, কী যে ঘটে যাবে, তা আন্দাজ করতে পারেন না কেউই। কখন যে কার সঙ্গে প্রেম করবে, কখন যে কার সঙ্গে বিয়ে করবে, তা একমাত্র ললাটের লিখন। মানুষ শতচেষ্টা করলেও, তা আর বদলাবে। এমনই ঘটে গিয়েছিল বলিউডের দুই তারকার সঙ্গে। ভেবেছিলেন এক। কিন্তু হল আরেকরকম। গোটা দুনিয়ায় যখন ছড়িয়ে গিয়েছিল তাঁদের প্রেমকাহিনী। ঠিক তখন গ্রহ-নক্ষত্র এমন খেল দেখাল যে, রাতারাতিই সব অদল-বদল। ভাবছেন কাদের কথা হচ্ছে?
সময়টা নয়ের দশক। বলিপাড়ায় তখন প্রেমের গুঞ্জন বলতে, শুধু একটাই চর্চা। অক্ষয় কুমার ও শিল্পা শেট্টি মাখোমাখো প্রেম। নাহ, সেই সময় সোশাল মিডিয়ার বাড়-বাড়ন্ত ছিল না। তাই চুপি চুপিই প্রেম করে চলেছিলেন এই তারকা। সিনেমার শুটিংয়ের বাইরে টুকটাক এদিক-ওদিক ঘুরেও বেড়িয়েছেন। শোনা গিয়েছিল, শুধু বিটাউনই নয়। দুজনের পরিবারও চাইতেন শিল্পা ও অক্ষয় বিয়ে করুক। কিন্তু নিয়তি তো অন্য গল্পই লিখেছিল তাঁদের কপালে।

সেই সময় অক্ষয়ের ঝুলিতে হিট কম, ফ্লপ বেশি। হাজার চেষ্টা করেও, বলিউডের তীরে তরী পাচ্ছিলেন না অক্ষয়। অন্যদিকে, শিল্পা তখন বলিপাড়ায় বেশ হিট। ঠিক সেই সময়ই শিল্পার বিয়ে দিতে চাইলেন তাঁর পরিবার। কিন্তু ডুবন্ত কেরিয়ার থাকায়, অক্ষয়কে নাকচ করলেন শিল্পার পরিবার। তবে হঠাৎ করে নয়, জানা যায় শিল্পার পারিবারিক জ্যোতিষী দুজনের কুষ্টি বিচার করে স্পষ্ট বলেছিলেন, শিল্পার সঙ্গে অক্ষয়ের বিয়ে হলে, শিল্পার অধঃপতন একেবারেই চূড়ান্ত। জ্যোতিষীর কথা মেনেই প্রেমকে বিদায় দিলেন শিল্পা। শুধু তাই নয়, অক্ষয়কে নাকি প্রচুর শর্ত দিয়েছিলেন শিল্পার মা-বাবা। সেই কারণেই নাকি অক্ষয়ও সরে আসেন এই সম্পর্ক থেকে। এরপর অক্ষয়ও এসব শুনে নিজের কেরিয়ারেই মন দিলেন। বহু বছর পর দুজনেই পুরনো প্রেমকে ভুলে বিয়ে করে ফেললেন। অক্ষয়ের ঘরনি হলেন টুইঙ্কল খান্না। আর শিল্পা হলেন রাজ কুন্দ্রার স্ত্রী।
