AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Nadia: চপের দোকানে ঘণ্টায় ভাড়া পাওয়া যায় কেবিন, পর্দার আড়াল থেকে যা দেখা গেল… তাজ্জব এলাকাবাসী

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দোকানের পিছনে রয়েছে লম্বালম্বি একটা বিশাল জায়গা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য জায়গা দিতেন ওই দোকানদার। বেতাই বাজার কমিটির সম্পাদক পার্থ বিশ্বাস বলেন, “এর আগে ওই ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হয়েছিল।"

Nadia: চপের দোকানে ঘণ্টায় ভাড়া পাওয়া যায় কেবিন, পর্দার আড়াল থেকে যা দেখা গেল... তাজ্জব এলাকাবাসী
এই দোকানে চলল ভাঙচুরImage Credit: TV9 Bangla
| Edited By: | Updated on: Dec 05, 2025 | 1:37 PM
Share

নদিয়া: সামনেই রয়েছে মন্দির, স্কুল। বাসস্ট্যান্ডেও প্রতিনিয়ত বহু মানুষের যাতায়াত। তারই সামনে চপের দোকানে যে এমন কাজ চলে, তা বোঝা দায়। এলাকার বাসিন্দাদের অনেকদিন ধরেই সন্দেহ ছিল, ওই দোকানের ভিতরে কোনও বেআইনি কারবার চলে। কিন্তু এবার একেবারে হাতেনাতে ধরে ফেললেন তাঁরাই। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। রীতিমতো ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।

নদিয়ার বেতাই বাজার এলাকার ঘটনা। অভিযোগ ঘন্টা-চুক্তিতে ভাড়া দেওয়া হত ওই খাবারের দোকানের কেবিন। তরুণ-তরুণীদের মনোরঞ্জনের জন্য ওই কেবিন ভাড়া দেওয়া হত বলে অভিযোগ জানিয়েছেন এলাকার মানুষজন। তাঁদের দাবি, মন্দির-স্কুলের সামনে থাকা ওই দোকানের আড়ালে মধুচক্র চলে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মধুচক্রের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় মানুষ ও ব্যবসায়ীরা।

তরুণ-তরুণী সহ দোকান মালিককে ধরে ফেলেন বাসিন্দারা। খবর পেয়ে পুলিশ তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। বেতাই বাজার সাধারণ ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে দোকানে তালা মেরে দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় মানুষ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, চপ বিক্রির আড়ালে অসামাজিক কার্যকলাপ চলছিল দীর্ঘদিন ধরে। একাধিকবার সতর্ক করা হলেও কোন কথায় কর্ণপাত করেননি ওই চপ ব্যবসায়ী। অবশেষে দোকান খোলার থাকা অবস্থায় এক তরুণ-তরুণীকে ভিতরে ঢুকতে দেখে আশপাশের ব্যবসায়ীরা। এরপর কয়েকজন অতর্কিতে দোকানের ভিতরে প্রবেশ করে। অভিযোগ, পিছনের দিকে পর্দার আড়াল থেকেই তাঁরা দেখতে পান ওই তরুণ-তরুণী অশ্লীল কাজে লিপ্ত আছেন। হাতেনাতে ধরার পর ক্ষিপ্ত জনতা দোকানের আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। অসামাজিক কাজ মেনে নিতে পারছেন না কেউই। দোকানের ঠিক উল্টোদিকে রয়েছে একটি উচ্চ বিদ্যালয় এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়, মন্দির, বিশ্রামাগার। সেখানে হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, দোকানের পিছনে রয়েছে লম্বালম্বি একটা বিশাল জায়গা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে অসামাজিক কার্যকলাপের জন্য জায়গা দিতেন ওই দোকানদার। বেতাই বাজার কমিটির সম্পাদক পার্থ বিশ্বাস বলেন, “এর আগে ওই ব্যবসায়ীকে সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরও তিনি শোনেননি। আমরা ওই দোকানির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানাব।” পুলিশ জানিয়েছে, তিনজনকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।