কয়েক বছর আগের কথা। আচমকাই সোশ্যাল মিডিয়া সেনশেসন হয়ে ওঠেন নন্দিনী। পরনে জিনস-টপ,ছিপছিপে চেহারা, স্মার্ট। অফিস পাড়ার ফুটপাতের ভাত হোটেলে এমন মানুষ সচরাচর চোখে পড়ে না। খুবই চটপটে। সে সময় তাঁকে নিয়ে রীতিমতো আলেচনা শুরু হয়ে যায়। অনেকে আবার তাঁকে অহংকারী বলেছিলেন।
তার পর নিজের কেরিয়ার তড়তড়িয়ে এগিয়েছে তাঁর। এখন অনেক ফটোশুটেও দেখা যায় তাঁকে। মাচা শো-এর ক্ষেত্রে তাঁর বিপুল চাহিদা গাঁ-গঞ্জে। তাঁকে কেন্দ্র করে সমালোচনার শেষ নেই। ডালহৌসিতে তাঁর দোকাল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর অনেকেই বলেছিলেন নন্দিনীর দিন শেষ। তার পর নিউটাউনে টিনের চাল দেওয়া হোটেল খুলেছিলেন। এবার ঝাঁ চকচকে রেস্তরাঁ করলেন তিনি। যে রেস্তরাঁয় আর রোদে পুড়ে, বৃষ্টিতে ভিজে খেতে হবে না ক্রেতাদের। রয়েছে এসি।
রাসপূর্ণিমার দিন নতুন রেস্তরাঁর পুজো দেন তিনি। ভিডিয়োয় তিনি বলেন, “শুরু করেছিলাম কাগজের পাতায়, তারপর কত্ত কিছু আসে যায়, কলাপাতা….এই যে সিস্টেমটা (কাচের প্লেট দেখিয়ে) দেখে মনে হচ্ছে আসাটা খুব সহজ, কিন্তু বিশ্বাস করুন নয়।” তাঁর নতুন হোটেলের কাজ শেষ। ডিসেম্বরেই খুলবে তাঁর নতুন রেস্তরাঁর দরজা। পুরো সেটআপ এখনও অনেকটা বাকি আছে। ধীরে ধীরে নিজের পছন্দের জায়গাটিকে সাজাচ্ছেন নন্দিনী। আরও হোটেল খোলার স্বপ্ন দেখেন তিনি। সেই মুহূর্তের অপেক্ষায় দিন গুনছেন তিনি।