Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

টুইটার করেছে ব্রাত্য, ‘কু’ ডাকছে কঙ্গনাকে

এ দিন কঙ্গনার টুইটার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেই কু'র সিইও কঙ্গনাকে লেখেন, কু' যেহেতু ভারতীয় তাই সে তাঁর নিজের, বাকিরা সব 'রেন্টেড'। আর এক কর্মকর্তা ময়ঙ্ক বিদ্যাতকা এক বিবৃতি প্রকাশ করে কঙ্গনার উদ্দেশ্যে বলেন, "কঙ্গনাজি, এই আপনার বাড়ি। এখানেই গর্বের সঙ্গে আপনি আপনার মত প্রকাশ করতে পারেন।"

টুইটার করেছে ব্রাত্য, 'কু' ডাকছে কঙ্গনাকে
কঙ্গনা রানাওয়াত- বিতর্কে থাকতে ভালবাসেন তিনি। মাঝেমধ্যেই তাঁর মন্তব্য সৃষ্টি করে নতুন আলোচনার-বিতর্কের। কিন্তু অভিনয়ের দিক থেকে কঙ্গনা সত্যিই 'কুইন'। হিরোর দরকার নেই তাঁর। একা হাতে ছবি টেনে নিয়ে যাওয়ার ক্ষমতা রাখেন হিমাচল প্রদেশের এই অভিনেত্রী। মাত্র ১৫ বছর বয়সে অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে বাড়ি ছাড়েন কঙ্গনা। বাবা পাশে ছিলেন না।
Follow Us:
| Updated on: May 05, 2021 | 3:23 AM

টুইটার থেকে অ্যাকাউন্ট সাসপেন্ড হয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াতের। হাত বাড়িয়ে দিল ‘কু’। অভিনেত্রীকে নিজের মত সেখানেই প্রকাশ করার আহ্বান ‘কু’র অধিকর্তাদের।

কিন্তু কী এই ‘কু’? কু আদপে ভারতীয় মাইক্রো ব্লগিং প্ল্যাটফর্ম। ফেব্রুয়ারি মাসেই সেখানে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন কঙ্গনা। লিখেছিলেন, “এটি আমার কু অ্যাকাউন্ট… আমি চাই আমার সব বন্ধুরা আমায় ডিরেক্ট মেসেজে করুক এবং ইয়েলো হার্টে যোগ দিন। কঙ্গনার আকর্ষণীয় ভাবনাগুলো শুনুন ‘কু’ অ্যাপে।’’

এ দিন কঙ্গনার টুইটার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পরেই কু’র সিইও কঙ্গনাকে লেখেন, কু’ যেহেতু ভারতীয় তাই সে তাঁর নিজের, বাকিরা সব ‘রেন্টেড’। আর এক কর্মকর্তা ময়ঙ্ক বিদ্যাতকা এক বিবৃতি প্রকাশ করে কঙ্গনার উদ্দেশ্যে বলেন, “কঙ্গনাজি, এই আপনার বাড়ি। এখানেই গর্বের সঙ্গে আপনি আপনার মত প্রকাশ করতে পারেন।”

আরও পড়ুন-সোনু সুদ একজন ‘প্রতারক’! টুইটে লাইক দিলেন কঙ্গনা রাণাওয়াত

প্রসঙ্গত ‘কু’-এ যোগ দিয়ে এর আগে টুইটারকে কটাক্ষ করে একটি পোস্টও করেছিলেন কঙ্গনা। উদ্বোধনী মেসেজে কঙ্গনা লেখেন, “সবাইকে নমস্কার… কাজ করার রাত, এটা ধক্কড় ক্র্যুয়ের সঙ্গে লাঞ্চ ব্রেক। কেন এখন ‘কু’ নয়। পরিচিত হওয়ার জন্য এটা এক নতুন জায়গা। ভাড়ার জায়গা ভাড়ারই হয়। তোমার নিজের জায়গা তোমারই থাকে।” টুইটার ব্রাত্য করে দিলেও কু আপন করে নিতে চাইছেন অভিনেত্রীকে।

ঠিক কী কারণে বন্ধ করা হল কঙ্গনার অ্যাকাউন্ট? পশ্চিমবঙ্গে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পরেই সরব হয়েছিলেন বিজেপি সমর্থক কঙ্গনা। শেয়ার করছিলেন একের পর এক টুইট। কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘রাবণ’ আবার কখনও বা তাঁর নিশানায় ছিল এনআরসি এবং সিএএ । এক টুইটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রসঙ্গে কঙ্গনা লেখেন, ” ২০১৯ সালের পর মমতাদিদি আহত বাঘের মতো ফিরে এসেছে, কেন্দ্রকে হুমকি দিয়েছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাঁর হেলিকপ্টার থেকে নামতে দেননি, সিএএ/এনআরসি বন্ধ করে দিয়েছেন,বিজেপি কর্মীদের হত্যা করেছেন, খোলাখুলি গুন্ডামি করেছেন, এবং মোদীকে সতর্কবাণী দিয়ে বলেছেন আসুন, খেলা হবে। তিনি প্রকাশ্যে শরণার্থী জড়ো করে তাঁদের আরও ভোটার কার্ড দিয়েছেন…।”

এখানেই শেষ নয় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ এনে ‘#বেঙ্গলইজবার্নিং’ হ্যাশট্যাগ দিয়ে বেশ কয়েকটি টুইটও শেয়ার করেন তিনি। এর পরেই টুইটারে তরফে বন্ধ করে দেওয়া হয় তাঁর অ্যাকাউন্ট। যদিও সংবাদ সংস্থা এএনআইকে কঙ্গনা জানিয়েছেন, “টুইটার ছাড়াও অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে যেখানে আমি যা বলতে চাইছি তা বলতে পারব। যদি সেটাও সম্ভব না হয় তাহলে আমার নিজের কৃষ্টি, আমার সিনেমার মধ্যে দিয়ে তা আমি বলব।” ‘কু’তে আবার তাঁর ‘কু-কথা’ শুরু হবে কিনা সেটাই দেখার।