অসম বয়সে বিয়ের উদাহরণ বলিউডে কম নেই। হাজারও উদাহরণ রয়েছে। দিলীপ কুমার-শায়রা বানু থেকে শুরু করে দোলন-দীপঙ্কর। সেই তালিকাতেই নাম লিখিয়েছেন টলিপাড়ার আরও এক জুটি। তাঁরা আর কেউ নন– কাঞ্চন মল্লিক ও শ্রীময়ী চট্টরাজ। প্রেমদিবসের দিনেই বিয়ে করে ফেলেছেন টলিপাড়ার চর্চিত এই জুটি। এর পর থেকেই তাঁদের নিয়ে চলছে রীতিমতো তুলোধনা। যে যে কারণ নিয়ে নিন্দিত হতে হচ্ছে তাঁদের, তার মধ্যে একটি হল কাঞ্চন ও শ্রীময়ীর বয়সের ফারাক। তাতে অবশ্য বিশেষ কিছু যায় আসে না শ্রীময়ীর। সবটা জেনেই কাঞ্চনকে মন দিয়েছেন তিনি। টিভিনাইন বাংলাকে বলছিলেন, “লুকোনোর তো কিছুই নেই। কাঞ্চনের বয়স কী, তা সবাই জানেন। আমার এখন ২৬ বছর বয়স। যদিও অনেকেই সেটা বিশ্বাস করতে চান না। আমি তো জন্মদিনে তাই নিজের বয়স লিখতেও ভয় পাই।” হাসতে হাসতেই কথাগুলো বলছিলেন তিনি।
অন্যদিকে উইকিপিডিয়া বলছে, এই মুহূর্তে কাঞ্চনের বয়স ৫৩ বছর। দু’জনের মধ্যে প্রায় ২৭ বছরের ফারাক। দু’টো জেনারেশনের ফারাক। মতের মিল হয়? শ্রীময়ীর সোজাসাপটা জবাব, “একেবারেই। কাঞ্চন আসলে খুব সরল। মানুষকে বিশ্বাস করে ফেলে। তাই বলে আমি জটিল, সেটা বলছি না। তবে ওর সমস্যা হল, সবাইকেই ভাল ভাবে।”
এ বছর প্রেমদিবসেই হাঁটুগেড়ে শ্রীময়ীকে প্রপোজ করেন কাঞ্চন। প্রেমপ্রস্তাব নয় কিন্তু, সরাসরি বিয়ের প্রস্তাবই দিয়ে ফেলেন বিধায়ক। হ্যাঁ, বলতেও আর দেরি করেননি শ্রীময়ী। বাড়ির সকলের উপস্থিতিতে আইনি বিয়েটা সেরে ফেলেন তাঁরা। আগামী ৬ মার্চ তাঁদের আনুষ্ঠানিক বিয়ে। বড় করে মোটেও সেই বিয়ে করছেন না তাঁরা। কাছের মানুষেরা উপস্থিত থাকবেন সেই বিয়েতে। ভ্যেনু, মেন্যু কিছুই জানেন না শ্রীময়ী। বলেন, “সবটা আসলে ওই দেখছে”। নতুন বউয়ের কণ্ঠে ঝরে পড়ল অনুরাগের ছোঁয়া।