AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

আশার মন পেতে রোজ গোপনে এই কাজ করতেন আর.ডি বর্মন

প্রথমে আশা রাজি হননি পঞ্চমের বিয়ের প্রস্তাব। কারণ তাঁর প্রথম বিয়ে অভিজ্ঞতা ভাল ছিল না। কিন্তু পঞ্চমের ভালবাসার কাছে এক সময় নত স্বীকার করে ১৯৮০ সালে তাঁরা বিয়ে করেন।

আশার মন পেতে রোজ গোপনে এই কাজ করতেন আর.ডি বর্মন
| Edited By: | Updated on: Jun 25, 2025 | 5:50 PM
Share

১৯৮০ সালে বিয়ে করেন রাহুল দেব বর্মন এবং আশা ভোঁসলে। দুজনেরই ছিল এটা দ্বিতীয় বিয়ে। ১৯৬৬ সালে রিতা প্যাটেলের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন পঞ্চম, কিন্তু ১৯৭১ সালে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়। ১৯৬৬ সালেই ‘তিসরি মঞ্জিল’ ছবি দিয়ে পঞ্চম এবং আশার পথ চলা শুরু গানের জগতে। কাজ করতে করতে কখন যেন বয়সে বছর ৬ বড় আশার প্রেমে পড়ে যান আর. ডি. বর্মন। কিন্তু নিজের ভালবাসার কথা মুখ ফুটে বলতে পারেননি প্রথমে সুরের জাদুকর। কিন্তু তাঁকে না জানিয়েও পারছিলেন না। এমন অবস্থায় তিনি একটি অদ্ভুত কাজ শুরু করেন। বেনামে নিয়মিত গোলাপ পাঠাতে থাকেন আশাকে।

আশা ভোঁসলে তাঁর একটি পুরনো সাক্ষাৎকারে সেই ঘটনাটি স্মরণ করে জানিয়েছিলেন, কেউ তাঁকে প্রায় নিয়ম করে গোলাপ পাঠাতেন। একদিন এমনিভাবে তাঁর কাছে গোপাল আসে, সেই সময় তাঁর বাড়িতে আর.ডি বর্মন এবং কবি-গীতিকার মাজরুহ সুলতানপুরী উপস্থিত ছিলেন। তিনি গোলাপ দেখে বলে ওঠেন, “ওগুলো ফেলে দাও। কোন বোকা রোজ রোজ আমায় ফুল পাঠিয়ে সময় নষ্ট করছে”। তাঁর এই কথা শুনে পঞ্চম কষ্ট পান। তখনই মজরুহ সাহেব হেসে বললেন, “এই বোকাই তোমায় গোলাপ পাঠাচ্ছে”।

যদিও প্রথমে আশা রাজি হননি পঞ্চমের বিয়ের প্রস্তাব। কারণ তাঁর প্রথম বিয়ে অভিজ্ঞতা ভাল ছিল না। কিন্তু পঞ্চমের ভালবাসার কাছে এক সময় নত স্বীকার করে ১৯৮০ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। পঞ্চম কীভাবে তাঁর ভালবাসা আদায় করেছিলেন সেই সব মজার ঘটনা আশা ভাগ করেছিলেন সেই সাক্ষাৎকারে। শুধু ফুল নয়, পঞ্চম নানাভাবে তাঁর সঙ্গে মজা করতেন। আশা বলেছিলেন, “একবার পঞ্চম অন্ধকারে আফ্রো-উইগ পরে আমাকে ভয় দেখিয়েছিলেন। তিনি আমাকে সহ সবাইকে নকলও করতে পারতেন”। কাজের ফাঁকে এইসব করেই অবশেষে সুরের জাদুকর মন জয় করেন নিজের ভালবাসার।