অবিশ্বাস্য মনে হলেও এটাই বাস্তব। একের পর এক স্টারের জীবনে জড়িয়ে থাকা নানা অজানা কাবিনির মাঝে অমিতাভের জীবনে আর্থিক অনটন যেন এক অন্য ধারার গল্প। বাইরে থেকে যা বিশ্বাস করতে বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে পড়তে হয়। একের পর এক স্টার যখন ভাল ছবির দাপটে কেবলই নিজের পায়ের তলার জমি শক্ত করছেন, ঠিক একইভাবে তখন অমিতাভ বচ্চন জীবনে নিয়েছিলেন এক বড় সিদ্ধান্ত। যেখানে পরতে-পরতে তাঁকে ঠকতে হয়েছিলন।
নিজের প্রযোজনা সংস্থা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন বিগ বি। তার জেরেই বাজারে একাধিক ধার। কীভাবে পরিস্থিতি সামলাবেন বুঝতে পারছিলেন না। কারণ একটাই, এই প্রযোজনা সংস্থা রাতারাতি ক্ষতির মুখ দেখেছিল। সবটা বুঝেই কোথাও গিয়ে যেন নিজেকে সামলানোর সব রাস্তা বন্ধ হওয়ার আগেই তিনি ঘুরে দাঁড়াতে চেয়েছিলেন। যার আঁচ পড়েছিল অভিষেক বচ্চনের কেরিয়ারেও। মাঝ পথেই ছেড়ে দিতে হয়েছিল পড়াশুনা। তিনি বলেছিলেন, তিনি বাবার পাশে থাকতে চান। ফিরে আসতে চান ভারতে। সেই সময় কঠিন স্ট্রাগেল করেছিলেন অমিতাভ বচ্চন। একটা সময় এমন এসেছিল, যে তিনি অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে লোকের থেকে টাকা ধার করে নিজের পরিস্থিতি সামাল দেবে। ঠিক তেমনটাই ঘটে।
অভিষেক বচ্চন আরও জানান যে, এই সময় টেবিলে খাবার রাখার জন্যও হাত পাততে হতো অমিতাভকে। নিজের বাড়ির কর্মচারীদের থেকে টাকা ধার নিয়ে খাবার কেনা হতো। সেই দিন দেখেছিলেন অভিষেক বচ্চন। কিন্তু গিয়ে যেন সেই কঠিন সময় পেড়িয়ে গিয়ে আজ সবটাই স্বপ্নের মত তাঁদের কাছে। একটা সময়ের পর সোনি প্রযোজক সংস্থা পাশে দাঁড়িয়েছিল অমিতাভ বচ্চনের, বি-টাউনও দিয়েছিল একের পর এক ভাল ছবির প্রস্তাব। এরপরই স্বাভাবিক হয় অমিতাভের পরিস্থিতি। বচ্চন পরিবারে ফিরেছিল সুদিন।