AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

ডিভোর্সে ‘না’, স্বামীর সঙ্গে রাগারাগি হলে কী করতেন আশা?

কথা প্রসঙ্গে গায়িকা নিজের সংসার জীবনে ফিরে গিয়েছিলেন। তাঁর স্বামী রাহুল দেববর্মনও ছিলেন অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক এবং গায়ক। গায়িকা জানালেন স্বামীর সঙ্গে তাঁর অনেক ঝামেলা অশান্তি হতো কিন্তু কখনও ডিভোর্সের কথা মাথায় আসেনি তাঁর।

ডিভোর্সে 'না', স্বামীর সঙ্গে রাগারাগি হলে কী করতেন আশা?
| Edited By: | Updated on: Jul 29, 2025 | 7:52 PM
Share

বাংলা, হিন্দি, মারাঠি-সহ একাধিক ভাষায় গান গেয়ে দর্শককে মুগ্ধ করেছেন তিনি। সঙ্গীতশিল্পী আশা ভোঁসলের কণ্ঠে মুগ্ধ গোটা বিশ্ব। সামনেই তাঁর জন্মদিন। তার আগে বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে কথা বললেন গায়িকা। যার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় ছিল ‘ডিভোর্স’। ইদানীং শহরে ডিভোর্সের ঘটনার সংখ্যা অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে বিচ্ছেদের সংখ্যা অনেকটাই বেশি। এমনটাই বলছে সমীক্ষা। এত বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা বর্ষীয়ান গায়িকার যে মোটেই পছন্দ নয় সে কথাই এক কথোপকথনে জানিয়েছিলেন তিনি। কথা প্রসঙ্গে গায়িকা নিজের সংসার জীবনে ফিরে গিয়েছিলেন। তাঁর স্বামী রাহুল দেববর্মনও ছিলেন অন্যতম জনপ্রিয় সঙ্গীত পরিচালক এবং গায়ক। গায়িকা জানালেন স্বামীর সঙ্গে তাঁর অনেক ঝামেলা অশান্তি হতো কিন্তু কখনও ডিভোর্সের কথা মাথায় আসেনি তাঁর।

আশা এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “যখন আমার স্বামীর সঙ্গে কোনও বিষয় নিয়ে ঝামেলা হতো, রাগ হলে আমি নিজের মায়ের বাড়ি চলে যেতাম। সেখানে কিছু দিন থাকতাম। কিন্তু ডিভোর্সের কথা কখনও মাথাতেই আসেনি। তাই কখনও আমার স্বামী ডিভোর্স দিইনি। কিন্তু আজকালকার প্রজন্মকে দেখি কথায় কথায় ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। আমি বহু বছর ধরে এই সিনেমা জগতের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু নতুন প্রজন্মের মতো এমন আচমকা সিদ্ধান্ত নিতে কাউকে দেখিনি।”

উল্লেখ্য, আজও সকলকে গানে গানে মাতিয়ে রাখতে পছন্দ করেন আশা। এই বয়সেও মঞ্চে উঠলে তিনি যেন এক অন্য মানুষ। আশা ভোসলে কেন আজও কনসার্ট করছেন? অনেকের মনেই এই প্রশ্ন বর্তমান। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই মর্মে মুখ খুলেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “যদি আমি আরও বাঁচি, তবে আমি মহারাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রান্তে যাব, কনসার্ট করব। আমার শোয়ের নাম ও ফির নেহি আতি হ্যায়। আমিও আর ফিরব না। তোমার মনে কখনও সেই আক্ষেপটা থাকা উচিত নয়, ওই মানুষটাকে আমি দেখতে পাব না। অনেকেই বলেন, আমি কিশোর কুমারকে বা অন্যান্য গায়ক-গায়িকাদের দেখিনি। কিন্তু এখন আপনি বলতে পারবেন, আমরা আশা ভোসলেকে দেখেছি। আমি নাম ও জনপ্রিয়তা পেয়েছি। মানুষ আমায় চিনতে শুরু করে। আমি যখন কাজ ছেড়ে দিয়েছিলাম, আমি তখনও গান করেছি। আমি গান গেয়ে যাব, আমি রেওয়াজ করে যাব। আমি গান কোনওদিন ছাড়ব না। তাই আজও আমার কণ্ঠস্বর ঠিক রয়েছে।”