AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

মানুষ এত নিষ্ঠুর হতে পারে? কেন বাবা রাজকাপুরকে নিয়ে প্রশ্ন ঋষি কাপুরের

কয়েক বছর আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, কী করে একজন মানুষ এত নিষ্ঠুর হতে পারেন, তিনি বোঝেন না। সত্যি ঘটনাকে মিথ্যে প্রচার বলছেন।

মানুষ এত নিষ্ঠুর হতে পারে? কেন বাবা রাজকাপুরকে নিয়ে প্রশ্ন ঋষি কাপুরের
| Edited By: | Updated on: Jul 28, 2025 | 4:41 PM
Share

বেঁচে থাকতে ঋষি কাপুর তাঁর আর পরিবারের অনেক কথাই নির্দ্বিধায় বলতেন। যে কথাগুলো আজও নানা সময় উঠে আসে চর্চায়। তার মধ্যে অন্যতম তাঁর বাবা রাজকাপুর আর নায়িকা বৈজন্তীমালার সম্পর্ক। রাজ কাপুরের প্রথমে নার্গিস এবং পরে বৈজন্তীমালার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল, এই নিয়ে বলিউডে সেই সময় গুঞ্জন ছিল প্রবল। সেই গুঞ্জনে পরবর্তী কালে ঘি ঢালেন ঋষি কাপুর। তিনি বিভিন্ন সময় বাবার সম্পর্ক নিয়ে মুখর হয়েছেন। আসলে তিনি মায়ের খুব কাছের ছিলেন। সামনে থেকে মায়ের যন্ত্রণা দেখেছেন। আর সেই কারণেই তিনি মায়ের স্মৃতিতে নানা সময় নানা কথা শেয়ার করতেন। ঋষির মতে নার্গিসের সঙ্গে যখন তাঁর বাবার সম্পর্ক ছিল, তিনি খুব ছোট ছিলেন। তাই তেমনভাবে কিছু মনে নেই।

তবে বৈজন্তীমালার সময় তাঁর মা কৃষ্ণা কাপুর কিছুতেই রাজ কাপুরকে ক্ষমা করতে পারেননি। তিনি ছেলে ঋষির হাত ধরে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে যান। প্রথমে তাঁরা মুম্বইয়ের নটরাজ হোটেলে ওঠেন। তার দু’মাস পর চিত্রকূট নামে একটি অ্যাপার্টমেন্ট খাকতে শুরু করেন। এই অ্যাপার্টমেন্ট তাঁর বাবাই মাকে কিনে দেন, সেটাও উল্লেখ করেছিলেন ঋষি। তাঁর স্মৃতিরপাতা থেকে অনেক কিছুই লিখতে ঋষি। এই ঘটনার রেষ অনেকদিন পর্যন্ত গড়িয়েছিল বলে দাবি ছিল ঋষির। তাঁর বাবা মা-কে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার অনেক চেষ্টা করেন। কিন্তু মা কৃষ্ণা ছিলেন অনড়। যতক্ষণ না রাজ তাঁর সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসছেন, তিনি ফিরবেন না।

যদিও বৈজয়েন্তীমালা কোনওদিন এই সম্পর্কের কথা স্বীকার করেননি। তাঁর মতে, পুরোটাই ছিল সিনেমার প্রচারের জন্য সাজানো ঘটনা। তাঁর আর রাজ কাপুরের মধ্যে কোনও সম্পর্কই নাকি ছিল না। তিনি তাঁর আত্মজীবনীতেও একই কথা উল্লেখ করেছিলেন। এই নিয়েও ঋষি তাঁর মতামত দেন। কয়েক বছর আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছিলেন, কী করে একজন মানুষ এত নিষ্ঠুর হতে পারেন, তিনি বোঝেন না। সত্যি ঘটনাকে মিথ্যে প্রচার বলছেন। তাঁর মতে, বাবা বেঁচে থাকলে কখনও তিনি এই সম্পর্ক অস্বীকার করতেন না। সময়ের সঙ্গে নিজের রাগ কমে যাওয়ার কথাও বলেন ঋষি। তিনি মনে করেন প্রচারের জন্য অনেকেই অনেক সত্যের উপর পর্দা ফেলে। তবে তাঁর বাবা সারাজীবন নিজের নিয়মে চলেছেন। তাই তিনি বেঁচে থাকলে কখনই নিজের সম্পর্কের কথা অস্বীকার করতেন না।

রাজ কাপুর আর বৈজয়েন্তীমালা একসঙ্গে দুটি ছবিতে কাজ করেন। একটি ১৯৬১ সালে তৈরি ‘নজরানা’, যার পরিচালক ছিলেন সিভি শ্রীধর। অন্য আর একটি ছবি ‘সঙ্গম’ (১৯৬৪)। এই ছবির পরিচালক-প্রযোজক দুই-ই ছিলেন রাজ কাপুর। ছবিতে রাজেন্দ্র কুমারও অভিনয় করেন।