তাঁর গানে মুগ্ধ শ্রোতারা। তিনি স্পষ্টবাদী বলে আরও প্রিয় সকলের। তিনি হলেন সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী। পরিবারের খুবই আদরের মেয়ে। কয়েক বছর হল সঙ্গীতপরিচালক নীলাঞ্জন ঘোষকে বিয়ে করেছেন তিনি। এখন শুধু বাবার আদরের মেয়ে নয় শ্বশুরবাড়িরও প্রিয় হয়ে উঠেছেন গায়িকা। তাই আরই কুটো নেড়ে দুটো করতে হয় না তাঁকে। শ্বশুরবাড়ি থেকে দু’বেলার খাবার চলে আসে ইমন-নীলাঞ্জনের ফ্ল্যাটে। আর বাবা যাবতীয় বাজার করা, জল সবকিছুর দায়িত্বে।
কেউ বাড়িতে খেতে আসবেন বললে তবেই ইমন নিজে চাল-ডাল কিনতে বের হন। এমন সব কথা রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (অভিনেত্রী ও হুগলীর তৃণমূল সাংসদ) ফাঁস করে দিয়েছিলেন। এমনিতে ইমন ভীষণই দায়িত্বশীল একজন মানুষ। পরিবারের সকলকে নিয়ে থাকতে তিনি ভীষণই ভালবাসেন। কারও সাতে পাঁচে থাকেন না ঠিকই। কিন্তু গায়িকার এমন কথা শুনে রীতিমতো চমকে গিয়েছেন সবাই। তাঁকে তুলোয় আগলে রাখেন স্বামী নীলাঞ্জন।
রচনাকে উত্তরে গায়িকা জানিয়েছিলেন, তিনি এখনও ছোট। দায়িত্ব নিতে গেলে তাঁকে আরও বড় হতে হবে। এ কথা শুনেই তেড়ে যান রচনা। তিনি বলেন, “ঠাস করে মেরে দেব, কবে দায়িত্ব নিবি?” উল্লেখ্য, সম্প্রতি বিতর্কে জড়িয়েছিল গায়িকার নাম। তাঁর বাংলা গান গাওয়া নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিপুর সমস্যা। সম্প্রতি একটি মাল্টিন্যাশানাল কোম্পানির ফ্যামিলিডে-তে গান গাইতে গিয়েছিলেন তিনি। ইমনের কণ্ঠে বাংলা গান শুনে একজন রীতিমতো চেঁচামেচি করতে থাকেন। ব্যস তাতেই বেজায় চটেন গায়িকা। বাংলায় থাকতে হলে বাংলা গান শুনতে হবে এই দাবিতেই স্বর তুলেছিলেন ইমন।