কোনও ভাবেই রাশ টানা যাচ্ছে না কোভিড সংক্রমণে ( Covid update)। প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। বৃহস্পতিবার মাত্র একদিনের মধ্যে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ৩,১৭, ৫৩২ জন। সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন মহারাষ্ট্রে। কোভিড কেসের সংখ্যা আগের তুলনায় প্রায় ২৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে বেঙ্গালুরুতেও। ডেল্টার তুলনায় ওমিক্রন (Omicron) যে আরও কয়েক গুণ বেশি সংক্রামক একথা আগেই জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকায়, নভেম্বরের শেষ দিকে। এরপর মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বিশ্বের প্রায় ৫৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়ে ওমিক্রন। রোগ-উপসর্গ মৃদু, সাধারণ ফ্লু এর মতই। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জ্বর, মাথাব্যথা, সর্দি-কাশির সমস্যা ছাড়া তেমন কিছু থাকছে না।
ওমিক্রনের ক্ষেত্রে ৫ থেকে ১০ দিন আইসোলেশনের কথা বলা হয়েছে গাইড লাইন অনুসারে। কিন্তু অনেকেই তা মানছেন না। সেই সময়ের আগেই বাড়ির বাইরে বেরিয়ে পড়ছেন। বর্তমান সমীক্ষা বলছে এই ১০ দিনের আইসোলেশনের পরও কিন্তু আক্রান্ত ব্যক্তি সংক্রমণ ছড়াতে পারেন। যে কারণে তাঁরা বলছেন আইসোলেশনের মেয়াদ বাড়ানো উচিত। সম্প্রতি ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ইনফেকশাস ডিজিজেস-এর তরফে একটি গবেষণাপত্র প্রকাশ করা হয়েছে। যে পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে ১৭৬ জন যাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁদের ১০ দিন কোয়ারানটিন পর্ব পেরনোর পর পরীক্ষা করাতেও আরটি-পিসিআর পরীক্ষায় রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। সেই সঙ্গে ১৩ শতাংশের ক্ষেত্রে ভাইরাস এমন পর্যায়ে ছিল যে তাঁদের ক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা ছিল।
এমনও কিছু জন রয়েছেন যাঁদের শরীরে ৬৮ দিন পর্যন্ত ভাইরাস সংক্রামক অবস্থায় ছিল। যে কারণে তাঁদের বহুদিন পর্যন্ত দুর্বলতাও ছিল। এক্সেটার মেডিক্যাল স্কুলের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কোয়ারানটিন পর্ব কাটিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর আবারও ১০ দিন পর তাঁরা বেশ কিছু গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা নিয়ে ফিরে এসেছেন। এবং তখন তাঁদের শরীরে সংক্রমণের যে পর্যায় ছিল সেখান থেকে অনেকেই সহজে আক্রান্ত হয়ে যেতে পারতেন। তাই আইসোলেশন পর্ব কাটিয়ে আরও একবার পরীক্ষা করিয়ে নেওয়াটা জরুরি। সেই সঙ্গে কোভিড বিধিও মেনে চলা আবশ্যক। সামান্য সর্দি-কাশির সমস্যা থাকলে অবহেলা নয়। কোভিডের উপসর্গ আর সাধারণ উপসর্গের মধ্যে মিল থাকায় অনেকেই বিষয়টি হালকা ভাবে নিচ্ছেন। এই ব্যাপারেই কিন্তু বার বার সতর্ক করেছে হু। অনেকেই এড়িয়ে যাচ্ছেন কোভিডের পরীক্ষা। যে কারণে বাড়ছে উপসর্গহীন আক্রান্তের সংখ্যা। রিপোজ্ঞট পজিটিভ আসলে নিয়ম মেনে বাড়িতে থাকুন। চিকিৎসকের পরামর্শমত ওষুধ খান এবং তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: Covid-19: ঠিক কতবার কোভিডে আক্রান্ত হতে পারেন? জেনে নিন বিশেষজ্ঞ পরামর্শ…