Covid-19: ঠিক কতবার কোভিডে আক্রান্ত হতে পারেন? জানুন যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা…

কোভিড বিধি মেনে, বাড়িতে থেকে, মাস্ক-স্যানিটাইজার ব্যবহার করার পরও কিন্তু সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন অনেকেই। বাদ পড়ছেনা শিশুরাও। কিন্তু কেন?

Covid-19: ঠিক কতবার কোভিডে আক্রান্ত হতে পারেন? জানুন যা বলছেন বিশেষজ্ঞরা...
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 21, 2022 | 1:07 AM

দিন দিন বেড়েই চলেছে কোভিড ( Covid-19)আক্রান্তের সংখ্যা। যাঁরা ভ্যাকসিনের দুটো ডোজই ( Covid-vaccine) নিয়েছেন, যাঁরা গত দ্বিতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন তাঁরাও কিন্তু আবার ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে বিশেষজ্ঞরা কিন্তু বারবার জোর দিচ্ছেন টিকাকরণের উপরে। সেই সঙ্গে মেনে চলতে বলছেন যাবতীয় কোভিড বিধি। কিন্তু এসবের পরও বেড়ে চলেছে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু কেন এমন ভাবে বেড়ে চলেছে কোভিড সংক্রমণ? কেনই বা টিকাকরণের পরও কমছে না কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা? কেন পুনরায় সংক্রমণ ( Reinfected) হচ্ছে?

এ প্রসঙ্গে ইউ এস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (US’ Centers for Disease Control and Prevention) তরফে জানানো হয়েছে, একবার আক্রান্ত হয়ে সেরে ওঠার পর আবার যখন সংক্রমণ হয় তখন বলা হয় কোভিড রি ইনফেকশন। চিকিৎসকেরা মনে করছেন, যাঁদের ক্ষেত্রে ভাইরাল লোড কম থাকছে তাঁদের ক্ষেত্রেই এই সমস্যা বেশি।  কোভিড আক্রান্ত হওয়ার ফলে প্রতিরোধ ক্ষমতাও কমছে। যে কারণেই বারবার সংক্রমণ ফিরে আসছে বলে মনে করা হচ্ছে। অ্যান্টিবডির স্থায়িত্ব কম হওয়ায় ফের সংক্রমণের আশঙ্কাও থাকছে। তবে এই বিষয়ে এখনও কিন্তু গবেষণা চলছে। বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তের খোঁজ করছেন বিশেষজ্ঞরা।

পুনরায় সংক্রমণের সম্ভাবনা কতটা কত ঘন ঘন সংক্রমণ হতে পারে প্রথম সংক্রমণের ঠিক কতদিন পর পুনরায় সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে কাদের ক্ষেত্রে এই ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং পুণরায় সংক্রমণের অর্থ কি

সমপ্রতি দিল্লি এইমসের তরফে একটি গবেষণা প্রকাশিত হয়েছে। সেখানেই বলা হয়েছে কোভ্যাক্সিনের দুটি ডোজ কিন্তু কোভিডের সংক্রমণ রুখে দিতে ৮৬ শতাংশ কার্যকর। আবার ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনের একটি সমীক্ষায় বলা হয়েছে, ভ্য়াকসিনের প্রভাব একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত স্থায়ী হচ্ছে। ভ্যাকসিন নেওয়ার ৯০ দিন পর পর্যন্ত শরীরে অ্যান্টিবডি থাকে প্রচুর পরিমাণে। কিন্তু কিছুদিন পর থেকেই তার কার্যকারিতা কমতে থাকে। যেকারণে এই পুনরায় সংক্রমণ। যে কারণে যাঁরা পরের দিকে ভ্যাকসিন নিয়েছেন তাঁদের মধ্যে কিন্তু সংক্রমণ তুলনায় কম।

মুম্বাই বাইকুলা, মাসিনা হাসপাতালের চেস্ট ফিজিশিয়ন, (এমডি চেস্ট অ্যান্ড টিউবারকিউলোসিস) ডাঃ সুলাইমান লাধানি যেমন বলেন, ‘বারবার পরীক্ষা করা হচ্ছে এবং ফলাফল পজিটিভ আসছে এরকমটা কিন্তু বিরল। তবে যাঁরা সব সময় হাই এক্সপোজারের মধ্যে রয়েছেন যেমন স্বাস্থ্যকর্মীকরা, যাঁদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তুলনায় কম তাঁরা কিন্তু আক্রান্ত হতে পারেন। তবে বারবার কোভিড আক্রান্ত হচ্ছেন, এরকমচা এখনও শোনা যায়নি’।

অ্যাপলো টেলিহেলথের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডাঃ এমডি মুবাশ্বের আলি বলেন, ‘ঠিক ভাবে সেরোলজিক্যাল পরীক্ষার মাধ্যমে এমন কিছু ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে হবে যাঁরা বার বার আক্রান্ত হচ্ছেন। সেই সঙ্গে তাঁদের থেকে কতটা সংক্রমণ ছড়াতে পারে এবং তাঁদের শরীরে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কতখানি তাও কিন্তু খতিয়ে দেখতে হবে। কারণ খুব কম সময়ের মধ্যে এক ব্যক্তি দুবার আক্রান্ত হচ্ছেন, এটা কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক’।

ভাইরাস একাধিকবার নিজেকে মিউট্যান্ট করছে। আর তাই একদন ব্যক্তি কতবার আক্রান্ত হতে পারেন তা সঠিক ভাবে বলতে পারছেন না চিকিৎসকেরাও। তাঁরা জোর দিচ্ছেন ভ্যাকসিনেশন এবং কোভিড বিধির উপর। সব সময় মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা এবং সময়মতো ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া কিন্তু চালিয়ে যেতে হবে।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

আরও পড়ুন: paracetamol: প্যারাসিটামল খেলে চুমুক নয় অ্যালকোহলে! পড়তে পারেন জটিল সমস্যায়