paracetamol: প্যারাসিটামল খেলে চুমুক নয় অ্যালকোহলে! পড়তে পারেন জটিল সমস্যায়
সাধারণত ইনফ্লুয়েঞ্জা, জ্বর-সর্দি কিংবা কোভিড জ্বরেও কিন্তু প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে এই ওষুধকে কখনই অভ্যাস করে ফেলবেন না। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই খান
ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় জ্বর আসলে কিংবা ইনফ্লুয়েঞ্জায় (Influenza) ঠান্ডা লেগে জ্বর আসলে চিকিৎসকরা প্যারাসিটামল (Paracetamol) খাওয়ার পরামর্শ দেন। এমনকী কোভিডের (Covid-19) সংক্রমণে জ্বর আসলেও সেক্ষেত্রে প্যারাসিটামল খাওয়ারই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য প্রতি ডোজ ১ গ্রাম করে প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে প্রতিদিন ৪ গ্রামের বেশি খাওয়া ঠিক নয়। এর বেশি খেলে লিভারে সমস্যা হতে পারে। এমনকী বিষক্রিয়ার সম্ভাবনাও থেকে যায়। তবে বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল দিতে হলে অবশ্য়ই কিন্তু চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন। এছাড়াও যাঁরা প্রায়শই অ্যালকোহলে অভ্যস্ত তাঁরাও কিন্তু ২ গ্রামের বেশি প্যারাসিটামল খাবেন না।
যদি প্যারাসিটামল লিক্যুইড অবস্থায় খান তাহলে আগে অবশ্যই পরিমাপ করে নেবেন। কারণ অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তরল ওষুধ কিন্তু মানুষ বেশি পরিমাণে খেয়ে ফেলেন। সেই সঙ্গে প্যারাসিটামল গিলে না খেয়ে চিবিয়ে খাওয়া উচিত। কিন্তু কোনও অবস্থাতেই প্রতিদিন প্যারাসিটামল খাবেন না। অনেকেরই কিন্তু প্যারাসিটামলে অ্যালার্জি থাকে। সেক্ষেত্রে যেমন নিজেকে আগে থেকে সতর্ক থাকতে হবে তেমনই ওষুধ খাওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া একান্ত কর্তব্য। বিশেষত আপনার যদি লিভারের কোনও সমস্যা থাকে বা দীর্ঘদিন ধরে মদ্যপানে অভ্যস্ত থাকেন তাহলে কোনও ভাবেই চিকিৎসকের পরামর্শ ব্যতীত প্যারাসিটামল খাবেন না। সম্প্রতি দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে এমনটাই বলা হয়েছে।
ওষুধ খাওয়ার পর যদি কোনও সমস্যা হয়, গায়ে কোনও র্যাশ হয় বা আমবাতের সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে কিন্তু সাবধান হতে হবে। এছাড়াও যাঁদের অ্যালার্জির সমস্যা থাকে তাঁদের ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় শ্বাস নিতে অসুবিধে হয়। মুখ, ঠোঁট, জিভ, গলা ফুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কাজেই এই ব্যাপারে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন। শুধু প্যারাসিটামলই নয়, কোনও ওষুধে যদি অ্যালার্জি থেকে থাকে. তবে তা কিন্তু খাওয়ার আগে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।
ঠান্ডা লাগা, গায়ে ব্যথা কিংবা, সর্দি-কাশির সমস্যায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই প্যারাসিটামল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বলা হয় প্যারাসিটামল এসব ক্ষেত্রে নিরাপদ। কিন্তু যাঁরা নিয়মিত অ্যালকোহল খান তাঁদের কেন এই ওষুধ না খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। আর এই ওষুধ চলাকালীন কেনই বা অ্যালকোহল খাওয়া উচিত নয় জানুন-
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে প্যারাসিটামলের মধ্যে প্রধান উপাদান হিসেবে থাকে ইথানল। আর এই ইথানল যদি অ্যালকোহলের সঙ্গে মেশে তাহলে রাসায়নিক বিক্রিয়ায় শরীরের উপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ে। বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা, পেটখারাপের মত সমস্যা হতে পারে। অনেকেই আবার হ্যাংগওভার কাটানোর জন্য প্যারাসিটামল খান। সেই অভ্যাসও ছাড়া দরকার। কারণ এই দুই উপাদান মিলে শরীরে টক্সিসিটি তৈরি করতে পারে। এছাড়াও মদ্যপান শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। বরং বাড়িয়ে দেয় অনেক ঝুঁকি। হার্টের সমস্যা, লিভারের সমস্যা, স্নায়ুর সমস্যা-সহ একাধিক রোগ আসতে পারে। আর তাই আগে থেকেই সতর্ক থাকুন।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।
আরও পড়ুন: COVID-19: কোভিড থেকে সেরে উঠছেন? ভয়, আতঙ্ক দূরে সরিয়ে যে ভাবে মনের যত্ন নেবেন…