Causes Of Diabetes: বিশ্বজুড়ে নিঃশব্দ ঘাতকের মতো থাবা বসিয়েছে ডায়াবেটিস। ফলে দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। এখন পরিবার পিছু একজন সদস্য ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। অনেকের ক্ষেত্রে তা জিনগত হলেও বেশিরভাগই কিন্তু টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। যে ডায়াবেটিসের জন্য দায়ী আমাদের রোজকারের জীবনযাত্রা। ডায়াবেটিসের সমস্যা নিয়ে লাইন বাড়ছে চিকিৎসকের চেম্বারের বাইরেও। যে কারণে এখন বাজারে চল বেড়েছে Diabetologist- দের। ইদানিংকালে ভারতেও বেড়েছে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা। খুব কম বয়স থেকেই অনেকে আক্রান্ত হচ্ছে এই মারণ রোগে। এর মূল কারণ কিন্তু জীবনযাত্রা। পশ্চিমের দেশগুলিতে যে রকম জীবনযাত্রা মেনে চলা হয় তার একটা ছাপ রয়েছে আমাদের দেশেও। আর তাই সমস্যা বাড়ছে দিনের পর দিন। অতিরিক্ত পরিমাণ ফাস্টফুড, মিষ্টি, তেলেভাজা, অ্যালকোহল এসব ডেকে আনছে একাধিক শারীরিক ব্যাধি। বাড়ছে কোলেস্টেরল আর ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রাও। আর তাই এখনই সচেতন না হতে পারলে মুশকিল।
রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে ইনসুলিন হরমোন। অগ্ন্যাশয় থেকে তৈরি হয় ইনসুলিন। কোনও কারণে এই হরমোন উৎপাদন বাধা পেলে কিংবা পরিমাণে কম তৈরি হলে তখনই রক্তে সুগারের মাত্রা বেড়ে যায়। রক্তে সুগারের মাত্রা অজান্তেই বাড়ে। সুগার বাড়তে শুরু করলে ক্লান্তি, চোখ জ্বালা, জিভ শুকিয়ে যাওয়া, বার বার বাথরুমে যাওয়া এসব বাড়ে। কিন্তু মামুলি উপসর্গ বলে অনেকেই এড়িয়ে যান। সমস্যা আরও বাড়লে যখন চিকিৎসকের কাছে যান তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। আমাদের কিডনি, চোখ এবং স্নায়ুর উপর প্রভাব ফেলে এই সুগার।
সুগার গ্রাম-শহর কিংবা নারী-পুরুষের লিঙ্গভেদ মানে না। যে কোনও মানুষের ক্ষেত্রেই আসতে পারে এই সমস্যা। কিন্তু এক্ষেত্রে আগে থেকেই সচেতন হওয়া বাঞ্ছনীয়। অনেকেই মনে করেন বছরে একবার সুগার পরীক্ষা করা এবং চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ নিয়মিত খেলেই কাজ হবে। যা বাস্তবে সত্যি নয়। সেই সঙ্গে এই কয়েকটি ভুলও কিন্তু তাঁরা করে থাকেন-
কোনও রকম শরীরচর্চা না করা- সুগারের ক্ষেত্রে নিয়মিত ভাবে শরীরচর্তা করতেই হবে। তা হতে পারে ১৫ মিনিট বা ৩০ মিনিট। ডাক্তাররা সব সময় ডায়াবেটিসের রোগীদের ৩০-৪০ মিনিট হাঁটার পরামর্শ দেন। সঙ্গে কিছু ফ্রি হ্যান্ড এক্সসারসাইজ। রোজ যদি ৪৫ মিনিট করে ব্যায়াম করা যায় তাহলে এই সমস্যা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ধূমপান এবং মদ্যপান- সুগারের রোগীদের ক্ষেত্রে ধূমপান এবং মদ্যপান দুটোই বিষ। ডায়াবেটিসের সঙ্গে যোগসূত্র রয়েছে ফ্যাটি লিভারের। আর তাই একটানা মদ্যপান করলে সেখান থেকে লিভারে ফ্যাট জমার আশঙ্কা থেকে যায়। ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। অ্যালকোহলের মধ্যে অতি মাত্রায় ক্যালোরি থাকে। ফলে সুগার বাড়াটাই স্বাভাবিক। এছাড়াও নিয়মিত ভাবে ধূমপান করলে রক্তে বাড়ে কোলেস্টেরলের মাত্রা। যেখান থেকে হার্টের রোগের আশঙ্কাও থেকে যায়।
নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শে না থাকা- যাঁদের সুগারের সমস্যা রয়েছে, হাই সুগার না থাকলেও প্রতি তিনমাস অন্তর সুগার পরীক্ষা করা এবং চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি। এছাড়াও নিজে বাড়িতে নিয়মিত ভাবে সুগার টেস্ট করে দেখুন। কী কী পরিবর্তন হচ্ছে তাও লিখে রাখতে ভুলবেন না। তাহলে চিকিৎসা ঠিকমতো হবে এবং চিকিৎসকের কাজটাও তুলনায় সহজ হয়ে যাবে।