আয়ুর্বেদ (Ayurveda) হল ভারতের প্রাচীন চিকিত্সাশাস্ত্রের এক অঙ্গ। প্রায় ৫০০ বছর পূর্বে এঅ দেশেরই মাটিতে এই চিকিৎসা পদ্ধতির উত্পত্তি হয়। এটি এমনই এক চিকিৎসা পদ্ধতি (Treatment) যাতে রোগ নিরাময়ের চেয়ে স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার প্রতি বেশী জোর দেওয়া হয়। রোগ নিরাময় ব্যবস্থা করাই এর মূল লক্ষ্য। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে ভেষজ উপায়ে টোটকাগুলি ব্যবহার করতে পারেন। অনেকের কাছেই, শেষ পাতে বা খাবার শেষে এক টুকরো মিষ্টি না খেলে যেন খাওয়া সম্পূর্ণ হয় না। ফেভারিট ডেজার্ট (Dessert) না পেলে দিনটাই যেন মাটি হয়ে যায়। কেউ খেতে ভালো চাটনি, কেউ আইসক্রিম, কেউ সন্দেশ। তবে মূল উদ্দেশ্য ওই মিষ্টি খাওয়া। তবে জানলে অবাক হবেন, খাবার খাওয়া শেষ হয়ে গেলে কখনওই মিষ্টি খাওয়া উচিত নয়! আয়ুর্বেদ মতে, মিষ্টি খাওয়ার অভ্যেসে থাকলে বরং বড় মিল গ্রহণের আগেই মিষ্টি খেয়ে নিন। তার ফলে খাদ্য হজম হবে ভাল। শরীরে পুষ্টি উপাদানও ঢুকবে সহজে।
বিশেষজ্ঞের মতে—
• মিষ্টি হজম হতে অনেকখানি সময় নেয়। তাই খাবার প্রথমে মিষ্টি খেলে হজমতন্ত্রে নানা ধরনের পাচক রসের ক্ষরণ বেড়ে যাবে। ফলে খাদ্য গ্রহণের পরে দ্রুত সেই খাদ্য হজমও হয়ে যাবে।
• অথচ খাবার পরে মিষ্টি খাওয়ার অর্থ হল, পাচন প্রক্রিয়াকে শ্লথ করে দেওয়া।
• খাদ্য হজম করা ছাড়াও মিষ্টি খেলে আরও একটি সুফল লাভ হয়। মষ্টি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জিভের স্বাদকোরকগুলি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে খাদ্যের সঠিক স্বাদ আমরা পেতে থাকি।
• অথচ খাবার খাওয়ার পরে মিষ্টি খেলে তা খাদ্যের সন্ধান ঘটিয়ে দেয়। মাত্রাতিরিক্ত অ্যাসিড ক্ষরণ হতে থাকে পাকস্থলীতে। ফলে পেট ফাঁপার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। দেখা দেয় বদহজম।
• শেষ পাতে মিষ্টি গ্যাস ও চোঁয়া ঢেকুর ওঠার আশঙ্কাও থাকে।
আয়ুর্বেদে হজমক্ষমতা বাড়ানোর কিছু উপায়…
• প্রতিদিন একটি করে ডাব খান।
• প্রতিদিন খেতে পারেন ইসবগুল।
• প্রয়োজন মতো খান আমলকী, হরিতকী, বহেড়ার গুঁড়ো বা ত্রিফলা চূর্ণ।
• জলপান করুন নিয়মিত। প্রতিদিন অন্তত ৩ লিটার জলপান করতেই হবে।
• খাবার খাওয়ার সময় খেতে পারেন শশা যা হজম ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
• রান্নায় গোলমরিচের ব্যবহার খাদ্য হজমে সাহায্য করে।
• খাবার শেষে মৌরী খান।
• খাদ্যে দিন দারুচিনি। দারুচিনি নানা হজমে সাহায্যকারী এনজাইমের ক্ষরণে সাহায্য করে।
• পেটে ব্যথা হলে এবং গ্যাস হলে খেতে পারেন আদা।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।