নিয়ম করে খাওয়া-দাওয়া করে, রোজ শরীরচর্চা করেন, সহজ কথায় স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল মেনে চলেন। তাই হঠাৎ করে ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার কথা আপনার মাথায় আসবে না। কিন্তু আপনার পরিবারের মধ্যে যদি ক্যানসারের ইতিহাস থাকে, জিনগত কারণে আপনিও কিন্তু ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন। এটা ক্যানসারের একটি মাত্র কারণ। পরিবারের ক্যানসারের ইতিহাস না থাকলেও, আপনি ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন। সেক্ষেত্রে একাংশে আপনার অস্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল দায়ী হতে পারে। কিন্তু ক্যানসারের পিছনে ঠিক কোন-কোন কারণগুলো দায়ী, তা আজও অনেকেরই অজানা। তাই সচেতন থাকার দায়িত্ব আপনারই। ৩০-এর কোঠা পেরোলেই কোন-কোন ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পেতে পারে, জেনে রাখুন।
স্তন ক্যানসার: বেশিরভাগ মানুষের ধারণা বয়স বাড়লে মেয়েদের মধ্যে স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি বৃদ্ধি পায়। কিন্তু অনেক সময় ৩০ পেরোলেও আপনি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন। তাই বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে স্তন ক্যানসারের লক্ষণগুলো সম্পর্কে সচেতন থাকুন। কোনও লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
মেলানোমা: মেলানোমা হল এক ধরনের ত্বকের ক্যানসার। যে কোনও বয়সে আপনি এই ক্যানসারে আক্রান্ত হতে পারেন। বরং, বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে এই ত্বকের ক্যানসারের সম্ভাবনা বাড়তে থাকে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব এই ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
জরায়ু মুখের ক্যানসার: স্তন ক্যানসারের পর মহিলাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি জরায়ু মুখ ক্যানসার বা সারভাইকাল ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এইচপিভি ভাইরাসের কারণে সারভাইকাল ক্যানসারের কোষ বাড়তে থাকে। মূলত অসুরক্ষিত যৌন সম্পর্কই এই রোগ ডেকে আনে। ২০-এর উপরে এবং ৫০-এর নীচে মহিলাদের মধ্যে সারভাইকাল ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি।
থাইরয়েড ক্যানসার: থাইরয়েডের সমস্যা নিয়ে কমবেশি অনেকেই সচেতন। কিন্তু আপনি কি জানেন, বয়সের সঙ্গে থাইরয়েড ক্যানসারের ঝুঁকিও বাড়ে। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যেই থাইরয়েড ক্যানসারের ঝুঁকি বেশি। তাই গলার নীচে যেখানে থাইরয়েড গ্রন্থি অবস্থিত, সেখানে কোনও উপসর্গ দেখা দিলে এড়িয়ে যাবেন না।
প্রস্টেট ক্যানসার: ৪০-এর পর পুরুষদের মধ্যে প্রস্টেট ক্যানসার খুব সাধারণ। আর বয়স ৫০ পেরোলে প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এই ক্যানসার সব সময় প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে না। তাই যখন উপসর্গ ধরা পড়ে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। প্রস্রাব করার সময় কোনও ব্যথা, জ্বালাভাব বা রক্তপাত হলে দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন।