পুজোর আগে L সাইজ থেকে M সাইজ জামায় ফিট হওয়ার জন্য অনেকেই জিমে ভর্তি হয়েছেন। কিন্তু পুজো যে আর দু’সপ্তাহও বাকি নেই। এর মধ্যে কি মেদ ঝরাতে পেরেছেন? অধিকাংশ মানুষই ওয়েট লসের জার্নিতে এমন বেশ কিছু ভুল করেন, তার মাশুল তাঁকে পরে গুনতে হয়। ঠিক যেমন শরীরচর্চার পাশাপাশি ডায়েট। ওয়ার্কআউট ও ডায়েট একসঙ্গে করলে ওজন কমতে বাধ্য। কিন্তু ডায়েটের ক্ষেত্রেও আপনাকে প্রাথমিক কিছু নিয়ম মানতে হবে। সুষম আহারই এখানে একমাত্র বিষয় নয়। কী খাচ্ছেন, তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ হল আপনি কখন খাবার খাচ্ছেন। খিদে পেলেই যে খাবার খান, কিংবা খিদে পেয়েছে অথচ মেদ ঝরানোর জন্য খাবার এড়িয়ে গেলেন, এটা করলে চলবে না।
সঠিক সময় খাবার না খাওয়াই বাঙালির ভুঁড়ি হওয়ার অন্যতম কারণ। সকালে চা-বিস্কুট তারপর একদম দুপুরে ভাত-মাছের ঝোল, এই ডায়েটে দীর্ঘদিন চলার ফলেই পেট ফুলতে থাকে, শারীরিক গঠন বদলে যায়। পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন কমাতে গেলে কিংবা শরীর সুস্থ রাখতে নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাবার খাওয়া জরুরি।
দুটো খাবারের মাঝে দীর্ঘক্ষণ বিরতি থাকলে গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাড়ে। সকাল, দুপুর এবং রাত, এই তিনবেলার খাবার গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এই তিনবেলার খাবারের মাঝে যে সময়ের বিরতি থাকবে, সেখানেও আপনাকে কিছু না কিছু খেতে হবে। না হলে পেটে গ্যাস উৎপন্ন হতে পারে, পাশাপাশি রক্তে শর্করার মাত্রাও বেড়ে যেতে পারে।
সকাল, দুপুর এবং রাত, এই তিনবেলার খাবারে পুষ্টিকর খাবার অবশ্যই রাখবেন। কিন্তু ভরপেট খাবার খাবেন না। বার বার খাবার খান কিন্তু অল্প পরিমাণে। ২-৩ ঘণ্টা অন্তর খাবার খান। এতে আপনার হজম প্রক্রিয়া সচল থাকে। পাশাপাশি দেহে পুষ্টির ঘাটতি তৈরি হয় না এবং ক্লান্তিও দেখা দেয় না। এছাড়াও ওজনও বশে থাকে। যে কারণে ওয়েট লস স্ন্যাকসের চাহিদা এত বেশি। তিনবেলার খাবারের মাঝে যেসব খাবার খাবেন, সেগুলোও স্বাস্থ্যকর খাওয়া চাই। বেলার দিকে তাজা ফল খেতে পারেন। এছাড়া অফিসের ব্যাগে বাদাম, প্রোটিন বার রাখতে পারেন। বিকালবেলা স্ন্যাকস হিসেবে মাখানা, ছোলার চাট ইত্যাদি খেতে পারেন। আবার রাতে, ঘুমোতে যাওয়ার আগে গরম দুধ কিংবা ক্যাফেইন মুক্ত ভেষজ চায়ে চুমুক দিতে পারেন। এগুলো আপনার হজমের গোলমালকে দূর করবে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করবে। তাই দীর্ঘক্ষণ পেট খালি রাখার বদলে বার বার অল্প পরিমাণে খাবার খেতে থাকুন।