Winter Sun: ব্যায়াম ছাড়াই ব্লাড প্রেসার আর ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে! শীতের মিঠে রোদের উপকারিতা জানা আছে?
Health Benefits: বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে সূর্যালোকের গুরুত্ব অস্বীকার করা সম্ভব নয়।
কনকনে ঠান্ডা এখনও পড়েনি। তবে শীতের সুমিষ্ট আমেজ বিদ্যমান। ভোরবেলায় শিরশিরানি ঠান্ডা হাওয়ায় গরম ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপে চুমুক দেওয়ার যে অনুভূতি, একপ্রকার স্বর্গীয়। শীতের সকালে রোদ গায়ে মাখতে কার না ভাল লাগে। নভেম্বরের শেষ সময় থেকে জমিয়ে ঠান্ডা পড়ার আগে জেনে নিন, শীতকালের রোদ স্বাস্থ্যের জন্য কেন গুরুত্বপূর্ণ ? কনকনে ঠান্ডা এড়াতে রোদ পোহানো অধিকাংশের পছন্দের। সূর্যের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরকে উষ্ণতা দিতে বাড়ির বাইরে পা রাখেন অনেকে। কিন্তু সকালে সূর্যের আলো শুধু শরীরকে ওম দিতে নয়, শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন-ডি সরবরাহ করে, ফোলাভাব কমাতে, উচ্চ-রক্তচাপ কমাতে, মস্তিষ্কের কার্যকারিতা উন্নত করতে সাহায্য করে।
গরমকালে সূর্যের তাপ এড়ানো সবসময়ই ভাল। শীতের দিনে শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা যায়। বিভিন্ন রোগ ও সংক্রমিত হওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী রাখা গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে সূর্যালোকের গুরুত্ব অস্বীকার করা সম্ভব নয়।
সকালে তাড়াতাড়ি উঠে প্রতিদিন কমপক্ষে ১৫-২০ মিনিটের জন্য সকালের মিঠে রোদে থাকতে পারেন। তাতে কী কী উপকার পাবেন, তা এখানে দেওয়া রইল…
ভিটামিন ডি: শরীরের ভিটামিন ডি-এর ৯০ শতাংশই আসে সূর্যের আলো থেকে। বয়স যত বাড়ে ভিটামিন ডি-এর মাত্রা তত কমে। রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার প্রক্রিয়াও তুলনামূলকভাবে কমতে শুরু করে। সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক ভাবে শরীরে ভিটামিন-ডি এর মাত্রা বৃদ্ধি করতে প্রতিদিন শীতকালে রোদে মধ্যে ১৫ মিনিটের জন্য থাকলেই যথেষ্ট।
ওজন নিয়ন্ত্রণ: এডিনবার্গ এবং সাউদাম্পটন ইউনিভার্সিটির গবেষকদের মতে, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মি যে শুধুই ক্ষতিকর তা মোটেই নয়, কারণ এই ইউভি রশ্মিই শরীরে নাইট্রিট অক্সাইড মুক্ত করতে সাহায্য করে। এটি এমন একি প্রোটিন, যা টাইপ-২ ডায়াবেটিসের বিকাশকে রোধ করে। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য এর উপকারী দিক রয়েছে।
ভাল ঘুম ও মেজাজ ঠিক রাখে: মেজাজ ঠিক করতেও রোদ পোহানোর দারুণ গুণ রয়েছে। বিভিন্ন গবেষণায় জানা গিয়েছে, শীতে রোদে ১৫ মিনিটের মত থাতকলে শরীরে ভিটামিন ডি বৃদ্ধি পায়। এছাড়া রোদ গায়ে লাগলে শরীরে মেলাটোনিন হরমোন তৈরি হয়। তার জেরে খুব ভাল ঘুম হয়। মানসিক চাপ কমে যায়। মেজাজ থাকে ফুরফুরে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ: এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সমীক্ষা অনুসারে, উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা যদি ২০ মিনিটের মত রোদ পোহান তাহলে একঘণ্টার মধ্যেই রক্তচাপের মাত্রা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ার প্রবণতা তৈরি হয়।
অন্যান্য: ফাঙ্গাল ইনফেরশন হলে কয়েকমিনিটের জন্য রোদে বসুন, তাতেই শরীর অনেকটা চাঙ্গা থাকবে। ত্বকের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে রোদে বসে থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া জণ্ডিসের মত রোগ নিরাময়ের জন্যও বেশ উপকারী।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।)