নিজের প্রয়োজনেই সুস্থ থাকা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শুধুই শারীরিক ভাবে নয়, মানসিক ভাবেও সুস্থতা কাম্য। দীর্ঘ দু’বছর গৃহন্দি, ওয়ার্ক ফ্রম হোম এসব কিন্তু প্রভাব ফেলেছে আমাদের মনেও। আর তাই মনেরও যত্ন নিতে হবে। শরীর সুস্ত থাকলে তবেই কিন্তু কাজে একাগ্রতা বাড়বে। আরও বেশি মন দিয়ে কাজ করা যাবে। সেই সঙ্গে দীর্ঘায়ু ওয়া যায়। আর তাই জীবনযাত্রা হোক সুশৃঙ্খল। আজকাল সমাজে অনেক রকম রোগের প্রকোপ বেড়েছে। যার মধ্যে লাইফস্টাইল ডিজিজ কিন্তু সবচেয়ে বেশি। অত্যধিক ফাস্ট ফুড খাওয়া, তেল-মশলাদার খাবার বেশি খাওয়া, মানসিক চাপ, এক জায়গায় বসে দীর্ঘক্ষণ কাটিয়ে দেওয়া, কোনও রকম শরীরচর্চা না করা-সব কিছুই কিন্তু এর জন্য দায়ী। আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবস। প্রতি বছরই এই বিশে, দিনে সুস্থ থাকতে বিসে। টিপস দেন বিশেষজ্ঞরা। আর তাই সেলেব্রিটি পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকরের এই কয়েকটি টিপস মেনে চললে আপনি নিজেও থাকবেন সুস্থ।
*ব্রেকফাস্ট কখনই এড়িয়ে যাবেন না। আর ব্রেকফাস্টে বাইরের খাবারও কিন্তু নয়। সব সময় বাড়ির তৈরি খাবার খান। খাবার যাতে ফ্রেশ হয় সেদিকেও নজর দিন। রোজকার রুটিনের অংশ হিসেবে পোহা, ইডলি, ধোসা, ডিম রাখুন রোজকার খাবারের তালিকায়। সেই সঙ্গে কোনও একটা মরশুমি ফল কিন্তু অবশ্যই খাবেন। এছাড়াও রোজ তিনটে করে ভিজিয়ে রাখা আমন্ড, আখরোট খান। দিনের শুরুতে একটা করে কলাও খেতে পারেন।
*মিড-মিল- ব্রেকফাস্ট আর লাঞ্চতের মধ্যবর্তী এই সময়টায় কোনও একটা মরশুমি ফল খান। বাইরের কোনও ফল খেতে হবে এমন কিন্তু একেবারেই নয়। বরং জোর দিন দেশি ফলের উপরেই। এখন জামরুল, শসা, পেয়ারা, সবেদা এসব বিভিন্ন ফল বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। আর কয়েকদিনের মধ্যেই বাজারে এসে যাবে আম, জাম, কাঁঠাল। এছাড়াও এখন পাওয়া যাচ্ছে বেল। বেলের শরবত, আমপোড়ার শরবত যে কোনও কোল্ড ড্রিংকের তুলনায় অনেক ভাল। সব সময় জোর দিন স্থানীয় ফলে। যে ফল সহজলভ্য। তাতেই কিন্তু সুস্থ থাকবে শরীর।
*দেশি খাবারেই হোক দুপুরের আহার – ভাত বা রুটি যা কাওয়ার অভ্যাস রয়েছে তাই কিন্তি রাখুন দুপুরের আহারে। এক বাটি ডাল, এক বাটি সবজির তরকারি, এক পিস মাছ/ মাংস, স্যাসাড, টকদই, চাটনি/ আচার এই হল দুপুরের আহার। ভাত খান পরিমাণে। কখনই পেট ভর্তি করে খেয়ে নেবেন না। এছাড়াও ফল, গোটা শস্য, সবজি, দুধ এসবও কিন্তু অবশ্যই রাখবেন। দুপুরে ইচ্ছে হলে কোনও একটা মিষ্টি খেতে পারেন। এই খাবারেই আছে সবচেয়ে বেশি প্রোটিন।
*বিকেলের ঘুম- খাোয়ার পর ঘুম নয়। বরং দুপুরের খাবার খাওয়ার দু থেকে তিন ঘন্টা পর বিকেলে ২০ মিনিট ঘুমনোর সুযোগ পেলে কিন্তু ভাল। বিকেলের এই ছোট্ট ঘুম হলে শরীর লাগবে ফ্রেশ, সেই সঙ্গে রাতেো ঘুম আসবে তাড়াতাড়ি। এর ফলে শরীরের হরমোন ঠিকমতো কাজ করবে। সেই সঙ্গে কিন্তু মেদও ঝরবে। যাঁদের হজমের সমস্যা রয়েছে, যাঁদের হার্টে সার্জারি হয়েছে, থাইরয়েড-PCOS এর সমস্যা রয়েছে, অ্যাসিডিটির সমস্যা রয়েছে, হজমের সমস্যা রয়েছে বা অনিদ্রা জনিত সমস্যায় ভুগছেন তাঁদের জন্য এই ২০-৩০ মিনিটের ঘুম কিন্তু খুবই জরুরি।
*রাতের খাবার তাড়াতাড়ি সেরে ফেলুন। আর সেই সঙ্গে খাবার হোক হালকা-সহজপাচ্য। এতে শরীর ভাল থাকবে। যে খাবার খাওয়া আপনার অভ্যাস তাই খান। জোর করে কিছু পরিবর্তন করবেন না। অযথা ঘা, ভাত, রুটি ডায়েট থেকে বেদ দেবেন না। এতে কিন্তু শরীর সুস্থ থাকে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।