ক্রমেই চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। আর এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্েগে কিন্তু বাড়ছে আবহায়া জনিত অস্বস্তিও। ঘাম হতে থাকে, গুমোট বেশি লাগে, ঘাম বসে যায় শরীরে, এছাড়াও সূর্যের আলো পড়ে যাওয়ার বেশ কিছুক্ষণ পর পর্যন্তও কিন্তু মানুষ বাইরে বেরোতে ভয় পান। এপ্রিল মাসেই যে ভাবে গরম বাড়তে শুরু করেছে, তাতে চিন্তার ভাঁজ অমেনেরই কপালে। চৈত্র মাসে ৩৬ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রা অনেকেই আগে দেখেননি। ফলে থেকে যায় হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনাও। কিন্তু সুস্থ থাকতে গেলে যে পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন, তা সব সময় কিন্তু আমাদের হাতে থাকে না। তাই সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। এই গমের দিনে রোদ জীবানু যেমন সক্রিয় হয়ে ওএঠে তেমনই কিন্তু মাথা ব্যথা, পেটের সমস্যা এসব লেগেই থাকে। আর তাই মেনে চলুন সাধারণ এই কয়েকটি নিয়ম।
জল খান বেশি করে- গরমের দিনে জলের সঙ্গে কোনও আপোষ নয়। বাড়ি থেকে বেরোলেই সঙ্গে রাখুন জলের বোতল। পর্যার্ত পরিমাণে জল খান রোজ। প্রতি ঘন্টায় একগ্লাস করে জল খাবেন এই রকম হিসেবে কিন্তু জল খেতে হবে। জল ঠিক মতো খেলে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বেরিয়ে যায়। সেই সঙ্গে একাধিক শারীরিক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। জলের পাসাপাসি, ফলের রস, স্যুপ, ডাবের জল এসবও কিন্তু অবশ্যই রাখবেন। কোল্ড ড্রিংক একেবারেই এড়িয়ে চলুন। কারণ এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি।
পরিশ্রম করতে হবে- সারাদিন যদি এক জায়গাতে বসে থাকতে হয়, কোনও রকম মুভমেন্ট না থাকে তাহলেও কিন্তু খুব অসুবিধে। এতে চাপ পড়ে হার্টের উপর। হার্টের সমস্যা আসতে বাধ্য। তাই যদি সারাদিন বসে কাজ করতে হয় তাহলে ১ ঘন্টা ছাড়া অবশ্যই একবার করে উঠে দাঁড়ান। কিছুক্ষণ হাঁটাচলা করুন। এছাড়াও রোজ নিয়ম করে খেলাধুলা, যোগা, শরীরচর্চা, ডান্স যে কোনও একটা বেছে নিতে পারেন।
খাবার ভাগ করে নিন- গরমে খাবার ইচ্ছে থাকে বনা। সেই সঙ্গে কোনও সময়ে কী খাবার খাচছেন তা জানাও কিন্তু জরুরি। তেল-মসলাদার খাবার বেসি খেলে যেমন সমস্যা তেমনি খালি পেটে থাকলেও অসুবিধে হয়। সারাদিনের খাবারকে মোট ৪ টে ভাগে ভাগ করে দিন। চিনি খাওয়া একদম বন্ধ করে দিন। পরিবর্তে মরশুমি ফল, শাক-সবজি এসব বেশি করে খান। অতে শরীর অনেক বেশি ভাল থাকবে।
মানসিক স্বাস্থ্য- জোর দিন রোজকার মানসিক স্বাস্থ্যের উপরেও। মন ভাল থাকলে সব কিছু ঠিক থাকে। আর তাই অতিরিক্তল মানসিক চাপ নেবেন না। উদ্বেগ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করুন। রোদ-তাপ থেকে শারীরিক ক্লান্তির মতো কিন্তু মানসিক ক্লান্তিও আসে। তাই মনকে নিয়ন্ত্রণে রাখাও জরুরি।
ঘুম– মানসিক ও শারীরিক ভাবে সুস্থ থাকতে কিন্তু ভাল ঘুমও সমান ভাবে প্রয়োজন। অহেতুক রাত জেগে থাকবেন না। অনেক সময়ই গরমের জন্য রাতে ঠিক করে ঘুম হয় না। সেক্ষেত্রে যাতে সেই ঘুম দুপুরে মেকআপ হয়ে যায় সেই দিকে নজর রাখুন। টানা ৬-৭ ঘন্টা ঘুম কিন্তু খুবই জরুরি। নইলে শরীর মোটেই ঠিক থাকে না। যদি মনে হয় ভাল ঘুমের জন্য ঠান্ডা কোনও পানীয় খাওয়ার প্রয়জন তাহলে তাই কান। কিন্তু কোল্ড ড্রিংক নয়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।