সারা দেশ জুড়েই পালিত হচ্ছে মুসলিম ধর্মের অত্যন্ত উল্লেখযোগ্য উত্সব ঈদ-উল-আধা বা বাকরা ঈদ। যা সাধারণ ভাবে বখরি ঈদ নামে পরিচিত। দেশে সংক্রমণের হার কিছুটা নিম্নমুখী হতেই বেশিরভাগ রাজ্যই লকডাউন শিথিল করে দেওয়ায় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর জেরে ঘরবন্দি মানুষ একঘেয়েমি কাটাতে ভিন্নরাজ্যের পর্যটন কেন্দ্রগুলিতে গিয়ে ভিড় জমাচ্ছেন। এরই মধ্যে পবিত্র বখরি ঈদে বিশাল জমায়েতই এখন চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোভিড অতিমারি পরিস্থিতিতে ঈদের জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করা হলেও নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে দরকার কয়েকটি বিধি-নিয়ম পালন মেনে চলা উচিত।
এই উত্সবটি হজরত ইব্রাহিমকে সম্মান জানাতে উদযাপিত হয়। যিনি আল্লাহর জন্য তাঁর ১৩ বছরের পুত্র ইসমাইলকে কোরবানি দিতে প্রস্তুত ছিলেন। সেই সময় থেকেই ইব্রাহিমের প্রতি শ্রদ্ধা জানানোর জন্য, ইসলাম ধর্মাবলম্বীরা এই দিনটিকে একটি পশু বলি হিসাবে উদযাপন করেন এবং আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও দুঃস্থদের মধ্যে বিতরণ করেন।
ধর্মীয় উত্সব কেন্দ্র করে নমাজ পড়ার জন্য যে জমায়েত তৈরি হবে, তার জেরেই একটি বৃহত্তর স্তরে ফের একবার সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রত্যেকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতেই কয়েকটি কড়া বিধি মানলে মারণভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করা সম্ভব।
– পবিত্র উত্সবে নমাজ পড়ার সময় কমপক্ষে ১ মিটার সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখুন।
– এইদিন বাড়ির বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরতে ভুলবেন না যেন।
– আপনি যদি ডায়াবেটিসের রোগী হন বা দীর্ঘস্থায়ী ফুসফুসের রোগ রয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত আছে, ক্যান্সারের রোগী বা কিজনির অসুখে ভোগে তাহলে কোনও ধরণের সামাজিক সমাবেশে অংশগ্রহণ না করাই করাই ভাল।
– এই বিশেষ দিনে যতটা সম্ভব বাড়িতে থাকার চেষ্টা করুন। প্রার্থনা বা নমাজ পরুন বাড়িতেই। প্রার্থনার রাগগুলি অন্য কারোর সঙ্গে পরিবর্তন করবেন ন।
– বাইরে বের হলে স্যানিটাইজার সঙ্গে রাখুন। বার বার সাবান-জল দিয়ে হাত ধুয়ে নিন। কারও সঙ্গে কোনও রকমের ফিজিক্যাল কনট্যাক্ট এড়িয়ে চলুন। নমাজ শেষে কোলাকুলি করা বা হ্যান্জশেক থেকে দূরে থাকুন।
– অতিথিরা বাড়িতে এলে আগে স্যানিটাইজার দিতে হাত পরিস্কার করার অনুরোধ জানান। অতিথিরা চলে গেলে, আপনার ঘর ও মেঝে স্যানিটাইজ করুন।
– জনসমাবেশ এড়িয়ে চলুন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে বের হবেন না। একান্তই যদি বাড়ির বাইরে পা রাখতে হয়, তাহলে ডবল মাস্কিং, হাত স্যানিটাইজ করা এইগুলির দিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন।
– বাড়ির একজনমাত্র সদস্য কোরবানির খাবার আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও দরিদ্রদের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব নিন। খাবার সবসময় ভাল করে প্যাকিং করে তারপরই বিতরণ করার চেষ্টা করুন।
– ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে জয়ী হতে সারা দেশে কোভিড টিকাকরণ প্রক্রিয়া জারি রয়েছে। তাই ভ্য়াকসিনের দুটি ডোজ় নেওয়া আবশ্যিক। করোনার টিকা গ্রহণ করা থাকলে কোভিড সংক্রমমের হার অনেকচাই কমে যাবে বলে আশা বিজ্ঞানীদের।
আরও পড়ুন: অ্যান্টিবায়োটিক নয়, টনসিল ইনফেকশন কমবে ঘরোয়া টোটকাতেই