অ্যান্টিবায়োটিক নয়, টনসিল ইনফেকশন কমবে ঘরোয়া টোটকাতেই

ঢোক গিলতে, কথা বলতে কিংবা খাবার খাওয়ার সময়, কাশি হলে অস্বস্তিকর ও অসুবিধা তৈরি হয়। টনসিলের ব্যাথা শুরু হলে কানে ব্যাথা, জ্বর, মুখে দুর্গন্ধ, গলা ভেঙে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়।

অ্যান্টিবায়োটিক নয়, টনসিল ইনফেকশন কমবে ঘরোয়া টোটকাতেই
ছবিটি প্রতীকী
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 19, 2021 | 9:44 AM

সাধারণত শীতকালে আমরা টনসিলের ব্যাথায় কাতর হই, কিন্তু ঋতু পরিবর্তনের সময় বা দীর্ঘক্ষণ ধরে জলে ভিজলে, গরমে দেহের মধ্যে ঘাম জমলে টনসিলের ব্যাথা অনুভব করি। আবার অনেকের অল্প ঠান্ডাতেই টনসিল ফুলে যাওয়া, লাল হয়ে ব্যাথা তৈরি হওয়ার মতো উপসর্গ দেখা যায়।

সাধারণত, মুখ, নাক, গলা থেকে কোনও ভাবে রোগ-জীবাণু যাতে শরীরে মধ্যে সরাসরি প্রবেশ করতে না পারে তার জন্যই টনসিলের ভূমিকা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। করোনা আবহে টনসিলের ব্যাথার উপশম আরও বেশি করে ভয়ের সৃষ্টি হয়েছে। জিভের পিছনে গলার দুপাশে গোলাকার মাংসপিণ্ডটিই হল টনসিল। ঠান্ডা লাগলে টনসিলে সংক্রমণ দেখা দেয়। ভাইরাল ইনফেকশনের কারণে সবার প্রথমে গলা ব্যাথা শুরু হয়। ঢোক গিলতে, কথা বলতে কিংবা খাবার খাওয়ার সময়, কাশি হলে অস্বস্তিকর ও অসুবিধা তৈরি হয়। টনসিলের ব্যাথা শুরু হলে কানে ব্যাথা, জ্বর, মুখে দুর্গন্ধ, গলা ভেঙে যাওয়া ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়। টনসিল নিয়ে যাঁদের সবসময় সমস্যায় পড়তে হয়, তাঁরা প্রথমেই অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ করবেন না। ঘরোয়া কিছু উপায়ে টনসিলের উপশম হয়। সেগুলি কী কী দেখে নেওয়া প্রয়োজন….

নুন- গরম জল দিয়ে গার্গেল করা- এই টোটকা প্রায় সকলেই করেন। করোনাকালে দিনে দুবার করে গার্গেল করার পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তাররা। টনসিলের অবর্থ্য দাওয়াই হল হল নুন দিয়ে গরম জলে গার্গেল করা। এতে ব্যাকটেরিয়া নিধন ও গলা পরিস্কার দুটোই হয়ে যায়। টনসিলের ধাত রয়েছে যাঁদের, তাঁরা এই টোটকা সারা বছর করতে পারেন।

গরম চায়ে টাটকা মধু – টনসিলের ব্যাথা কমানোর জন্য গরম কিছু খেলে আরাম লাগে। তাই গরম গরম চা, জল খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। ঋতু পরিবর্তন বা সংক্রমণের জন্য় টনসিলে ব্যাথা অনুভব হলে গরম চায়ের সঙ্গে এক চা চামচ মধু দিয়ে খেলে দ্রুত আরাম পাবেন। মধুতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদান। যা টনসিলের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে পারে। খুব ভাল হয় যদি গরম গ্রিন টি বা মৌরি চা-র মধ্যে মধু গুলে খাওয়া যায়।

হিউমিডিফায়ার- শুকনো বাতাসে গলা ব্যাথার উপশম কমে তো নাই-ই, উল্টে ব্য়াথা ও অস্বস্তি বেড়ে যায়। ফলে গরম জলের ভাব নিলে টনসিলে আর্দ্রতা ফিরে আসে ও অস্বস্তি প্রশমিত হয়। শীতকালে টনসিলের সমস্যা বাড়লে এমন পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন। হিউমিডিফায়ার না থাকলে গরম জলে স্নান বা গরম জলের ভাব নিতে পারেন ।

টনসিলের ব্যাথা কমাতে ঘরোয়া টোটকাগুলি করার পরও যদি না কমে, তাহলে অবিলম্বে ডাক্তার দেখানো প্রয়োজন। জ্বর, ব্য়াথা বেড়ে যাওয়া, টনসিল ফুলে যাওয়া এমন উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। শিশুদের ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করা ভাল।