Healpha-র প্রচেষ্টায় একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ৩ থেকে ১৮ বছর বয়সি শিশুদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ শিশুর নাক-কান-গলার সমস্যা রয়েছে। রয়েছে চোখের বিভিন্ন সমস্যাও। আগামী ১৪ নভেম্বর জাতীয় শিশু দিবস। তার আগে এমন সমীক্ষা, দেশের ভবিষ্যতদের জন্য অত্যন্ত উদ্বেগজনক বার্তা বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন চিকিত্সক-বিজ্ঞানীরা।
তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটক ও মহারাষ্ট্র-সহ ভারতের শীর্ষস্থানীয় পাঁচটি রাজ্য জুড়ে প্রায় ১৮ মাস ধরে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। কোভিড অতিমারির আগে ভারতে প্রায় ৬৪,৬১৫ জন অভিভাবকদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের বক্তব্যের উপর ভিত্তিতে ধরে নেওয়া হয়েছে, খুব কম সংখ্যক শিশুই সুস্থ ও ভাল স্বাস্থ্যের অধিকারী। সমীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উল্লেখযোগ্যভাবে ছেলেদের তুলনায় মেয়েরা বেশি থাইরয়েড রোগে ভুগছে। এছাড়া দাঁতের স্বাস্থ্যবিধির অভাব, অস্বাস্থ্যকর খাওয়ার ধরণগুলি বড় সংখ্যক শিশুর দাঁতের সমস্যায় ভুগছে।
প্রতিবেদনের মূল ফলাফলগুলি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ৪১ শতাংশ শিশুর কানের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছে। ৩৯ শতাংশ শিশু কানের মোম সংক্রান্ত সমস্যায় ভুগছে, যা তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ অনেকটাই কমিয়ে দিয়েছে। ১৭ শতাংশ শিশু ব্লাড প্রেসার সমস্যায় আক্রান্ত, ৯ শতাংশ শিশুর এক চোখ অন্ধত্বের প্রবণতা রয়েছে। শুধু তাই নয়, ১৩ শতাংশ শ্বাসকষ্ট ও ২২ শতাংশ শিশু টনসিলের সমস্য়া আক্রান্ত।
ইএনটি-সম্পর্কিত সমস্যায় ভুগছেন এমন শিশুদের সংখ্যা অবশ্যই একটি গুরুতর উদ্বেগের বিষয় যে কানের স্বাস্থ্যবিধি এবং কানের মোম-সম্পর্কিত সমস্যাগুলির ফলে শ্রবণশক্তি হ্রাস এবং সংক্রমণ হতে পারে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, হেলফা-এর প্রতিষ্ঠাতা ও সিএসও রাজ জনপারেদ্দি বলেন, “স্বাস্থ্য রিপোর্ট কার্ডটি শিশুদের স্বাস্থ্যের অবস্থা সম্পর্কে পিতামাতা, শিক্ষক, অধ্যক্ষ এবং সরকারের জন্য একটি বাস্তবতা পরীক্ষা। ১.৩ বিলিয়ন জনসংখ্যার ৪১ শতাংশের বয়স ১৮ বছরের নীচে।”
দাঁতের সমস্যার সঙ্গে মাড়ি, দাঁতের হার ও এনামেলেও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সাধারণভাবে পরিচিত ভাল খাওয়া এবং ব্রাশ করার অভ্যাস ছাড়াও দাঁতের সমস্যাগুলির প্রকোপ কমানোর একটি সহজ কৌশল হল খাবারের রঙের সঙ্গে কম খাবার খাওয়া নিশ্চিত করা।
আরও পড়ুন: Longevity: দীর্ঘায়ু হতে ও ক্যানসার হঠাতে রান্নায় ব্যবহার করুন এই ৩ মশলা!