ভালো পোশাক পরলে সেটা কীভাবে শরীরের সঙ্গে ফিট হবে তা নিয়ে চিন্তা করতেই দিনের অর্ধেক সময় চলে যাচ্ছে? কথা বলছি পেটের নাছোড় চর্বির কথা। বাংলায় চলতি কথায় তাকে আদর করে ভুঁড়ি বলেয চিকিত্সাশাস্ত্রে পেটের জেদি মেদকে ভিসারাল ফ্যাট বলা হয়ে থাকে। সময় থাকতে অতিরিক্ত মেদ না ঝরালে ওবেসিটি, হৃদরোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস বা হজমের নানা ব্যাধি সৃষ্টি হতে পারে।দেহে অতিরিক্ত ও ক্ষতিকারক চর্বির কারণে স্বাস্থ্যের জন্য তা আরও ক্ষতিকর করে তোলে। সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার হল, এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়াও তেমন সহজ নয়। প্রাতঃরাশে যদি এমন কিছু খাওয়া যায়, যা থেকে পেটে জমে থাকা অতিরিক্ত মেদ থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
ভিসারাল ফ্যাট ম্যানেজমেন্টের কথায়, অতিরিক্ত মেদ নিয়ে যেসকল মানুষ সমস্যায় জর্জরিত , তাঁদের খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তন আনা দরকার। খাদ্য়তালিকায় স্য়াচুরেটেড ফ্যাট কম খাওয়া, নিয়মিত, মাঝারি ও দীর্ঘক্ষণ ওয়ার্কআউট করা প্রয়োজন। সকালের খাবারে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া পেটের চর্বি কমাতে বিশেষভাবে কাজ করে।
ব্রেকফাস্টের সময় একটি স্যান্ডুইচ, স্মুদি বা ওটমিল খেতে পারেন। তাতে প্রোটিনের ভাগ বেশি থাকে। স্যান্ডুইচের মধ্যে পুরো ডিম দিয়ে হোক বা স্মুদিকে কিছু প্রোটিন পাউডার বা ওটমিলের সঙ্গে কিছু বাদাম, আমন্ড যোগ করলে প্রোটিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া যায়। স্বাভাবিকের চেয়ে কম ক্যালোরি গ্রহণ করলে ওজন হ্রাস পায় ও পেটের জেদি চর্বিও ধীরে ধীরে ঝরতে থাকে।
কীভাবে প্রোটিনের মাধ্যমে ওজন কমানো যায়
বেশ কয়েকটি গবেষণার পর দেখা গিয়েছে কীভাবে উচ্চ প্রোটিন খাদ্য গ্রহণের মাধ্যমে ওজন হ্রাস পায়। ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্ট শুধুমাত্প স্থূলকায় রোীগদেরই সাহায্য করে না. বরং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর জন্য সক্ষম। তার ফলে মানুষের হৃদরোগ ও পরিপাকের ব্যাধিগুলির প্রবণতা কমে যায়।
নিউট্রিশন ও মেটাবলিজম জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, প্রোটিনের গুণমান ও পরিমাণ ও পেটের চর্বি হ্রাসের মধ্যে একটি শক্তিশালী যোগসূত্র রয়েছে। ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রা জটিল না করে এই খাবারগুলিকে আপনার ডায়েটে অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। তাতে কিছু স্বাস্থ্যকর ও সুসস্বাদু বিকল্প উপায়ও রয়েছে…
ডিম, ছোলা, পনির, বাদাম, ওটস, দুধ, দই, চিকেন ব্রেস্ট, কউনোয়া, কুমড়োর বীজ, চিনাবাদাম।
আরও পড়ুন: Brain Fog: ব্রেন ফগ কী? মানসিক এই সমস্যার পিছনে কী কী কারণ রয়েছে, জেনে নিন