ক্যনসার- এই নামটি শুনলেই আমরা ভয় পেয়ে যাই। বলা ভাল আতঙ্কিত হই। দিনের পর দিন বাড়ছে ক্যানসারের ঝুঁকি। ছোট থেকে বড়- যে কোনও বয়সের যে কোনও মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এই অসুখে। তবে সঠিক সময়ে ধরা পড়লে এই রোগ কিন্তু সম্পূর্ণ ভাবে সেরে যায়। আর তাই প্রথম থেকেই ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমাদের রোজকার জীবনযাত্রার কারণেই বাড়ছে ক্যানসারের ঝুঁকি. বিশেষত খাদ্যাভ্যাস। সময় মতো না খেলে বা ঠিকমতো খাবার না খেলে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা আসতে পারে। গবেষণাও প্রমাণ করেছে যে আমাদের খাদ্যাভ্যাস থেকেই বাড়ছে এই মারণ রোগের ঝুঁকি।
বিশেষজ্ঞরা বার বার বলছেন এই ৫ খাবারেই বাড়ছে ক্যানসারের ঝুঁকি। দেখে নিন সেগুলি কি কি-
প্রক্রিয়াজাত মাংস- বেকন, সসেজ, সালামি এসবই হল প্রক্রিয়াজাত মাংস। আর এই মাংসের ক্ষতিকর দিক অনেকটাই বেশি। স্যান্ডউইচ, হ্যাম, বার্গারে এই মাংসই ব্যবহার করা হয়। এমন খাদ্যাভ্যাসের কারণে আমেরিকার মানুষ অনেক বেশি ক্যানসারে আক্রান্ত হন। প্রক্রিয়াজাত মাংসের মধ্যে থাকে নাইট্রেট এবং নাইট্রাইট যা গরম হয়ে নাইট্রোসামাইন তৈরি করে। এর থেকে কোলন ও পাকস্থলী ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে। কম নাইট্রেট আর সোডিয়াম রয়েছে এরকম মাংস খাওয়ারই পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। সব সময় টাটকা মাংস খান। কম চর্বিযুক্ত মাংস খান। মাংসের পাতলা ঝোল খান, তেল মশলা দিয়ে কষিয়ে খাবেন না।
আল্ট্রা প্রক্রিয়াজাত খাবার- অতি প্রক্রিয়াজাত খাবার যদি রোজ খেতে থাকেন তাহলে ক্যানসারের ঝুঁকি বহুগুণ বেড়ে যায়। আল্ট্রা প্রসেসিং খাবারের মধ্যে অনেক ক্ষতিকারক রাসায়নিক থাকে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত পরিমাণ চর্বি, চিনি থাকে। যা ওজন বাড়ায়, সেই সঙ্গে ওবেসিটির ঝুঁকি বাড়ে। এর ফলে শরীরে প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস বাড়তে থাকে। এতে শরীর তো পুষ্টি পায় না উল্টে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ে।
অতিরিক্ত অ্যালকোহ যে বিপদ ডেকে আনে একথা কারোর জানতে বাকি নেই। কোলোরেক্টাল, স্তন, খাদ্যনালী, অগ্ন্যাশয়, যকৃতের ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় মদ্যপান। এর থেকে লিভারেরও অনেক ক্ষতি হয়। দীর্ঘমেয়াদি অ্যালকোহল সেবন থেকে হয় লিভার ক্যানসার। অ্যালকোহল আমাদের শরীরে হরমোনের তারতম্য ঘটায়। যা স্তন ক্যানসারের অন্যতম কারণ। জরায়ু ক্যানসারও কিন্তু এখান থেকেই আসে।
অতিরিক্ত চিনি, সফট ড্রিংক, চিনি দেওয়া ড্রিংক অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে সেখান থেকে একাধিক সমস্যা আসতে পারে।চিনি শরীরের জন্য একরকম বিষ। যা ক্যানসার কোষের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। তাই চিনি একেবারেই নয়। ছোট থেকেই এই অভ্যাস নিজের মধ্যে গড়ে তুলুন।এমনকী রেড মিটও চলবে না। অনেকেই সপ্তাহে দু দিন করে মটন খান। তাাঁদের বিপদ আসন্ন