সন্তান নিতে ইচ্ছুক কিন্তু কিছুতেই আশা পূরণ হচ্ছে না। ডাক্তারও দেখিয়েছেন কিন্তু সেখানেও কোনও সমস্যা ধরা পড়েনি। সময়মতো পিরিয়ড হয়, ওজনও নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তাও গর্ভধারণে সমস্যা হচ্ছে। গর্ভধারণে সমস্যার পিছনে শুধু স্ত্রীর স্বাস্থ্য জড়িত নয়। আজকাল বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, পুরুষদের মধ্যে নানা সমস্যার কারণে গর্ভধারণ করতে পারছেন না। শুক্রাণুর সমস্যা বা বন্ধ্যত্ব পুরুষদের মধ্যে খুব কমন। কিন্তু এ বিষয় কথা বলতে অনেকেই সঙ্কোচ বোধ করেন। অনেক সময় শুক্রাণুর সংখ্যা কম হয়। আবার অনেক ক্ষেত্রে শুক্রাণুর গুণগত মান ভাল হয় না। এমন হওয়ার পিছনে মূলত লাইফস্টাইলই দায়ী। তাই কোন উপায়ে ফার্টিলিটি ও স্পার্ম কাউন্ট বাড়াবেন, জেনে নিন।
১) সামগ্রিক স্বাস্থ্য উন্নত করার জন্য প্রতিদিন শরীরচর্চা করা জরুরি। যোগব্যায়াম করলে টেস্টোস্টেরন মাত্রা বাড়ে এবং ফার্টিলিটি উন্নত হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা প্রতিদিন শরীরচর্চা করেন, তাঁদের মধ্যে সঠিক মাত্রা টেস্টোস্টেরন থাকে এবং সেমেনের মানও উন্নত হয়।
২) দেহে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি থাকলে ফার্টিলিটির সমস্যা দেখা দিতে পারে। ভিটামিন সি দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি শারীরিক প্রদাহ ও দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া অক্সিডেটিভ চাপ কমায় যা পুরুষদের মধ্যে শুক্রাণুর গতিশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। দেহে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন সি থাকলে শুক্রাণুর সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়।
৩) মানসিক চাপ আপনার যৌন জীবন ও প্রজনন স্বাস্থ্যের উপর মারাত্মক প্রভাব ফেলে। মানসিক চাপ স্ট্রেস হরমোনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয় যা টেস্টোস্টেরনের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে।
৪) পুরুষ ও মহিলা উভয়ের ফার্টিলিটির জন্য জরুরি ভিটামিন ডি। এই পুষ্টি পুরুষদের দেহে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। তাই এই পুষ্টির ঘাটতি দেহে হতে দেবেন না। প্রয়োজনে ভিটামিন ডি সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করুন।
৫) শুক্রাণুর মান ও সংখ্যা বৃদ্ধির করার জন্য স্বাস্থ্যকর লাইফস্টাইল ভীষণ জরুরি। ধূমপান ও মদ্যপানের অভ্যাস পুরুষের মধ্যে ফার্টিলিটির সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এছাড়া অনিদ্রা শুক্রাণুর মানের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। দিনে ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম জরুরি।
৬) প্রক্রিয়াজাত মাংস শুক্রাণুর পরিমাণ কমিয়ে দিতে পারে। ফাস্ট ফুড খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন। এর বদলে তাজা শাকসবজি, ফল, বাদাম বেশি করে খান। এতে দেহে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে, টেস্টোস্টেরনের মাত্রা বাড়বে এবং শুক্রাণুর মান ও সংখ্যা বাড়বে।