সুস্থ থাকার জন্য, সঠিক ওজন বজায় রাখাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ স্থূলতা অনেক গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। স্থূলতার কারণে টাইপ-২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ ও মানসিক চাপের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই ওজনের দিকে নজর দেওয়া জরুরি। আর তার জন্য শরীরচর্চার পাশাপাশি ডায়েটর দিকে নজর দেওয়া জরুরি।
সুস্থ থাকতে নিয়মিত শাকসবজি খাওয়া ভীষণভাবে জরুরি। তবে জানেন কি এমন কিছু শাকসবজি রয়েছে যা শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তাই ওজন কমাতে চাইলে বেছে-বেছে এই ধরনের শাকসবজি বেশি করে ডায়েটে যোগ করতে হবে। আসুন জেনে নেওয়া যাক কোন-কোন শাকসবজি রয়েছে এই তালিকায়…
ব্রকলি-
ব্রকলিতে ক্যারোটিনয়েড নামক উপাদান রয়েছে। যা দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এতে ভিটামিন সি এবং কে-এর মতো পুষ্টি উপাদানও রয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছে ফাইবারও । এতে ক্যালরিও পরিমাণও কম। তাই ব্রকলিও খেতে পারেন। এটি ওজন কমাতে সাহায্য করবে।
বাঁধাকপি-
বাঁধাকপিতে ভিটামিন এ, বি, আয়রন, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো পুষ্টি উপাদান রয়েছে। বাঁধাকপিও ফাইবারের একটি চমৎকার উৎস। এতেও ক্যালোরি পরিমাণ কম, তাই এটি দ্রুত ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
পালং শাক-
পালং শাক শরীরের জন্য ভীষণ উপকারী। পালং শাক খেলে দৃষ্টিশক্তি ভাল হয়। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এর পাশাপাশি দ্রুত ওজন কমাতে সাহায্য করবে। পালং শাকে রয়েছে আয়রন, ভিটামিন এ, ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন সি এর মতো পুষ্টি উপাদান। এছাড়াও রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। পালং শাকে রয়েছে ফাইবার। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। ওজন কমাতে চাইলে বেশি করে পালং শাক খান।
ক্যাপসিকাম-
ক্যাপসিকামে রয়েছে পটাসিয়াম, ফোলেট, ভিটামিন বি৬, সি এবং ই এর মতো পুষ্টিগুণে। এতে ক্যাপসাইসিন নামে একটি উপাদানও রয়েছে, যা মেটাবলিজম রেট বাড়াতে সাহয্য করে।যার সরাসরি যোগ রয়েছে ওজন নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে।
ফুলকপি-
ফুলকপিতে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়াম রয়েছে। এতে জলের পরিমাণও বেশি । ফলে ফুলকপি খেলে শরীর হাইড্রেটেড থাকে। এছাড়া এই সবজি খেলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণে থাকে। ফলে ওজনও কমে দ্রুত।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।