Adult Film: পর্নোগ্রাফির প্রভাব পুরুষের জীবনে যা, মহিলার মনস্তত্ত্বে ঠিক তার উল্টো… জেনে নিন সমীক্ষার খুঁটিনাটি

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Jul 15, 2022 | 4:16 PM

Blue Film: পর্নোগ্রাফি দেখার সঙ্গে 'সেক্স'কে গুলিয়ে ফেলেন না মহিলারা। নিজেদের যৌনজীবনে, এমনকী বিছানাতেও সেই প্রভাব তাঁরা পড়তে দেন না...

Adult Film: পর্নোগ্রাফির প্রভাব পুরুষের জীবনে যা, মহিলার মনস্তত্ত্বে ঠিক তার উল্টো... জেনে নিন সমীক্ষার খুঁটিনাটি
যা জানাচ্ছে নতুন এই সমীক্ষা...

Follow Us

পুরুষদের যৌনজীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, নিয়মিত পর্নোগ্রাফি দেখলে। এ দিকে, সিংহভাগ ‘নীলছবি’র দর্শক পুরুষ। মেয়েরাও দেখেন, তবে সেই সংখ্যা একেবারেই নগণ্য। সম্প্রতি একটি সমীক্ষা সামনে এসেছে এ ব্যাপারে। আর সেই সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে গবেষকরা বলছেন, পুরুষদের পর্নোগ্রাফি দেখা একেবারেই ঠিক নয়। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের যৌনজীবন। তিন বছর ধরে ১ লক্ষেরও বেশি পুরুষের উপর এই সমীক্ষা চালান গবেষকরা। এই সময়সীমার মধ্যে পুরুষদের যৌনদক্ষতা, যৌনইচ্ছা এবং তারা কতদিনের ব্যবধানে পর্নোগ্রাফি দেখেছেন… তা খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। এই তিন বছরের পর্যবেক্ষণের পর যে ফলাফল গবেষকদের হাতে এসেছে, তাতে বিকৃত মানসিকতার উদাহরণই বেশি। সাইকোলজিক্যাল মেডিসিন জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে একটি প্রবন্ধ। সেখানেই উঠে এসেছে আরও একটি তথ্য: বৃহত্তর গোষ্ঠীর মধ্যে পর্ন নিয়ে শুধুই অশ্লীলতা চলে। এই তালিকায় বিষমকামীদের সংখ্যা বেশি। এঁরা নিয়মিতভাবে পর্নোগ্রাফি দেখেন এবং সেই কারণে এঁদের মধ্যে যৌন সমস্যাও অনেক বেশি। স্বাভাবিকভাবে যৌনতা এঁদের মনে আসে না, অধিকাংশের ক্ষেত্রেই থাকে ইরেকশন বা লিঙ্গ উত্থানের সমস্যা। যে কারণে এই সব পুরুষের স্বাভাবিক জীবনছন্দও ব্যাহত হয় অনেকক্ষেত্রেই। এই সব পুরুষের মহিলা সঙ্গীরাও এঁদের উপর অসন্তুষ্ট থাকেন। কারণ যৌনসুখ এসব পুরুষদের থেকে পাওয়া যায় না।

এ দিকে, মহিলাদের ক্ষেত্রে বিষয়টি পুরোপুরি উল্টো। গবেষণা বলছে, মেয়েদের পর্নোগ্রাফি দেখা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। বরং এতে তাঁদের যৌনজীবন উন্নত হয়। যৌনতা সংক্রান্ত যে কোনও সমস্যাও অনেক কম আসে। বরং মহিলারা পর্নোগ্রাফি দেখলে সেই প্রভাব পড়ে তাঁদের যৌনজীবনে। খুশী হন তাঁদের পুরুষসঙ্গীরা।

২০১৭ সালেও এই প্রসঙ্গে একটি গবেষণা প্রকাশ্যে এসেছিল। সেই প্রতিবেদনেও বলা হয়েছিল, রোজকার পর্নোগ্রাফি থেকে পুরুষরা আনন্দ নেন ঠিকই, কিন্তু রোজ এই অভ্যাসের ফলে প্রভাব পড়ে তাঁদের শরীরে। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরুষ প্রজনন স্বাস্থ্য-বিষয়ক গবেষক জোসেফ আলুকাল ঘটনাটি ব্যাখ্যা করে বলেছেন, অধিকাংশ পুরুষ মনে করেন সিনেমায় যা দেখানো হয়, বাস্তবেও তা সম্ভব। এবার যখনই বাস্তবে সঙ্গীর সঙ্গে সেই ধরনের মুহূর্ত তৈরি হয় না, তখনই তাঁরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। কিছু ক্ষেত্রে অতি সক্রিয়তাও দেখা যায়। যে কারণেই স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়।

তবে কেন মহিলাদের উপর পর্নোগ্রাফির প্রভাব আলাদা?

পর্নোগ্রাফি দেখার সঙ্গে ‘সেক্স’কে গুলিয়ে ফেলেন না মহিলারা। নিজেদের যৌনজীবনে, এমনকী বিছানাতেও সেই প্রভাব তাঁরা পড়তে দেন না। বরং বিছানায় কীভাবে সঙ্গীকে খুশি করতে হয়, সেই টিপস তাঁরা পর্নোগ্রাফি থেকে নেন। যে কারণে খুব সহজেই তাঁরা সঙ্গীদের সুখ দিতে পারেন। শুধু তাই-ই নয়, মেয়েরা অনেক সহজে শারীরিক কোনও সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে পারে—যা ছেলেরা পারে না। এছাড়াও ছেলেরা অনেক কম বয়স থেকে পর্নোগ্রাফি দেখা শুরু করে। ফলে কিশোরমনে তার বিরূপ প্রভাব পড়ে। সম্পর্ক আর শরীর নিয়ে মেয়েদের জ্ঞান ছেলেদের তুলনায় অনেক বেশি।

২০১৯ সালের একটি সমীক্ষা আবার বলছে, যৌনতার সময় মেয়েরা পর্নোগ্রাফি দেখতে চান না। কারণ এতে তাঁদের চেহারা নিয়ে মনের মধ্যে সংশয় তৈরি হয়। আত্মগ্লানিতে ভুগতে থাকেন। এমনকী পুরুষসঙ্গীও তখন চান বাস্তবেও সিনেমা হোক। অধিকাংশ মেয়েই এই বিষয়টি পছন্দ করেন না। পান না যৌন তৃপ্তিও। মূল ধারার সিনেমা থেকে এখনও যোজন দূরে পর্নোগ্রাফি। মহিলাদের সেক্স, উদ্দামতা নিয়ে যেটুকু দেখানো হয়, পর্নোগ্রাফিতে তা একরকম অশ্লীলতা। প্রদীপের তলায় যে অন্ধকার থাকে, তার সঙ্গেই একে তুলনা করেছেন উইম্যান এমপাওয়ারমেন্ট কোচ সামান্থা ব্লেক। অসম্মতিমূলক যৌনতা—পর্নোগ্রাফিকে এই হিসেবেই দেখেন সামান্থা।

Next Article