এবছরই চৈত্রের শেষবেলায় বাড়িতে ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-বন্ধুদের উপস্থিতিতে চারহাত এক হয়েছিল রণবীর কাপুর আর আলিয়া ভাটের। বিয়ের ঠিক ৮ মাস পর হেমন্তের এক সকালে মা হলেন রালিয়া দম্পতি। কাপুর পরিবারে লক্ষ্মীর আগমন। রবিবার সাত সকালেই আলিয়াকে নিয়ে হাসপাতালে যান রণবীর। সুখবর যে আজই আসতে পারে তার একঝলক আভাষ পাওয়া গিয়েছিল সূত্র মারফতই। আর কথা মতো দুপুর ১ টা-বাজার আগেই হল প্রতীক্ষার অবসান। ফিটনেস ফ্রিক আলিয়া চেয়েছিলেন একেবারে প্রাকৃতিক উপায়ে সন্তানের জন্ম দিতে। ছুরি-কাঁচির ঝঞ্ঝাটে প্রথম থেকেই যেতে চাননি তিনি। আর তাই বিশেষ ভাবে নিজের শরীরের যত্ন নিয়েছেন। সিজারিয়ান ডেলিভারির চাহিদা এখন বেশি হলেও এই ডেলিভারে মায়ের শরীরের উপর দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব ফেলে। আর সেই প্রভাব এড়াতেই আলিয়ার এমন সিদ্ধান্ত।
এই মাসেরই ২৮ নভেম্বর আলিয়ার ৩০-তম জন্মদিন। আর বিয়ে-কন্যা সব মিলিয়ে আলিয়ার এবছরের জন্মদিনটা জমজমাট। আলিয়া যাতে নির্বিঘ্নে সন্তানের জন্ম দিতে পারেন তার জন্য আগে থেকেই যাবতীয় ব্যবস্থা সেরে রাখা হয়েছিল কাপুর পরিবারের তরফে। মানসিক ভাবে নিজেকে প্রস্তুত করছিলেন আলিয়াও। গর্ভাবস্থার তৃতীয় পর্যায়ে আলিয়ার জেল্লা ছিল চোখে পড়ার মত। জুন মাসে তিনি যখন অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার খবর দিয়েছিলেন তখন ছিলেন লন্ডনে তাঁর প্রথম হলিউড ছবির শ্যুটিংয়ে। এরপর ব্রহ্মাস্ত্রের প্রচারেও তাঁকে দেখা গিয়েছে রণবীরের পাশে।
রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে যোগাসন আলিয়ার বহুদিনের অভ্যাস। এক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয়নি। কাজ ছাড়া এই সময়টা বিশেষ বাড়ি থেকে বেরোতে দেখা যায়নি তাঁকে। এমনকী দিওয়ালি পার্টি থেকেও নিজেকে দূরে রেখেছিলেন। ২০২০ থেকেই ভেগান ডায়েট মেনে চলেন অভিনেত্রী। আর তাই আলিয়ার বেবিশাওয়ারের অনুষ্ঠানে ভেগান মেন্যুই রেখেছিলেন সোনি রাজদান এবং নীতু কাপুর।
যাঁরা ভেগান গর্ভবতী অবস্থায় তাঁদের বেশি পরিমাণে আয়রন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন বি ১২, প্রোটিন এসব খাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। এছাড়াও বিভিন্ন রকম বাদাম, ডাল, সবুজ শাকসবজি, ফল এবং অন্যান্য উদ্ভিক ভিত্তিক খাবার খেতেই হবে। এছাড়াও সোয়াবিন, টকদই, আমন্ড মিল্ক এসবও খেতে হবে নিয়ম করে। যে খাবারে ক্যালশিয়াম বেশি রয়েছে এমন খাবার রোজ খেতে হবে। মিষ্টি একেবারেই এড়িয়ে চলতেন আলিয়া। স্বাদ মেটাতে বৌমাকে নানারকম লাড্ডু বানিয়ে খাওয়াতেন নীতু কাপুর। আখরোট, বিভিন্ন বাদাম আর চিয়া বীজও রোজ নিয়ম করে খেতেন আলিয়া। আখরোটের মধ্যে জিঙ্ক বেশি পরিমাণে থাকে।
আর তাই সেলেনিয়ামের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে রোজ এক থেকে দুটো বাদাম অবশ্যই খাবেন। অ্যালকোহল, কফি, বাইরের প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং স্প্রাউট চাট একেবারেই এড়িয়ে চলতেন তিনি। সুস্থ সন্তানের জন্মদিতে সব দিক থেকে নিজেকে প্রস্তুত রেখেছিলেন তিনি। যদিও প্রাকৃতিক নিয়মেই আলিয়া মেয়ের জন্ম দিয়েছেন কিনা তা এখনও জানা যায়নি। তবে আপনি ভেগান হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে তবেই ডায়েট করুন।