World’s Oldest Doctor: সেঞ্চুরি হাঁকিয়েও প্রতিদিন টানা ৯ ঘণ্টা রোগী দেখেন বিশ্বের প্রবীণতম ডাক্তার!

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Oct 17, 2022 | 7:50 AM

Guinness World Records: তাঁর এই বয়সে এখনও অদম্য কাজ করে চলার পিছনে কী রহস্য থাকতে পারে, তা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই নেটিজ়েনদের।

Worlds Oldest Doctor: সেঞ্চুরি হাঁকিয়েও প্রতিদিন টানা ৯ ঘণ্টা রোগী দেখেন বিশ্বের প্রবীণতম ডাক্তার!

Follow Us

বয়স কোনও কিছুরই বাধা হতে পারে না, তা ১০০ বছর পৌঁছে হাড়ে হাড়ে বুঝিয়ে দিচ্ছেন বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ ডাক্তার। ইতোমধ্যেই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস বুকে নাম তুলেছেন ড হাওয়ার্ড টাকার। ১০০ বছর বয়সে পৌঁছেও ডাক্তারি প্র্য়াকটিসিং থেকে সরে যাননি। বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ প্র্যাকটিসিং ডক্টর প্রায় ৭৫ বছর ধরে রোগী দেখে চলেছেন। পেশায় নিউরোলজিস্ট এই চিকিত্‍সক জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে অবসর নেওয়ার কোনও পরিকল্পনা নেই তাঁর। কাজের প্রতি এমন নিষ্ঠা ও ভালবাসা দেখে অনুপ্রাণিত হবেন নতুন প্রজন্মের চিকিত্‍সকরা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে তাঁর এই বয়সে এখনও অদম্য কাজ করে চলার পিছনে কী রহস্য থাকতে পারে, তা নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই নেটিজ়েনদের। তাঁর কথায়, ‘আমি এই গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস পাওয়ার সম্মানটি একক হিসেবে ধরে নিতে পারি। একটি দীর্ঘ, সন্তোষজনক ও সুখী জীবনের আরেকটি সম্মান অর্জন করেছি।’

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস অনুসারে, ড হাওয়ার্ড সপ্তাহে সপ্তাহে তাঁর রোগীদের সেবা করে চলেছেন। গড়ে প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে সন্ধ্য়ে ৬টা পর্যন্ত রোগী দেখেন। এমনকি তাঁর ১০০তম জন্মদিনের পরেই কোভিড ১৯ ধরা পড়ে।। তাতেও তিনি নিজের কর্তব্য ও কাজ থেকে বিরত রাখেননি। সরাসরি না দেখে , জুমের মাধ্য়মে রোগীর সঙ্গে যোগাোগ রাখতেন সেইসময়। যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেক চিকিত্‍সা পদ্ধতিকেও করেছেন সমৃদ্ধ।

পেশায় চিকিত্‍সক হলেও তিনি নিপুন দক্ষতা ও প্রতিভায় ভায়োলিন ও আপরাইট ব্রাশ বাজান। তাঁর মতে, তিনি যদি ডাক্তার না হতেন, তাহলে পেশাদারিত্বে সঙ্গে সঙ্গীতশিল্পী হতেন। ক্লিভল্যান্ড-ভিত্তিক সেন্ট পিটার্সেলে ভিনসেন্ট চ্যারিটি মেডিকেল সেন্টারে ডাক্তারি পড়ুয়াদের শিক্ষা দেন এখনও।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ওহাইওর ক্লিভল্যান্ড থেকে শুরু হয় হাওয়ার্ডের কাহিনি। ১৯২২ সালে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বাবা-মা ও এক ভাইয়ের সঙ্গে মানুষ হয়েছেন। অন্যান্য অনেক পরিবারের মত তাঁর পরিবারও ব্যপক প্রভাবিত হয়েছিল। ১৯২৯ সালে গ্রেট ডিপ্রেসনের কারণে বহু বছর ধরে প্রভাবিত হয়েছিলেন। সেই ভয়ংকর সময়ের কথা জানাতে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন, আমার ভাই ও আমাকে যতটা সম্ভব সেই প্রভাব থেকে রক্ষা করার চেষ্টা করতেন বাবা-মা। আমাদের জন্য অনেককিছু ত্যাগ করেছিলেন।

৬০ বছর পার হলেই অবসর জীবনের জন্য তোরজোড় শুরু করেন অধিকাংশ। কিন্তু গতানুগতিক প্রথার বাইরে গিয়ে তিনি এখনও নিজের কাজের জগতে একলব্য।

Next Article