ডায়াবেটিসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। যতই দিন যাচ্ছে ততই তা জাঁকিয়ে বসছে সমাজের অন্তরে। আর এর অন্যতম কারণ হল আমাদের জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাস। রোজের জীবনে অধিকাংশই ফাস্ট ফুড বেশি পরিমাণে খান। কাজের ফাঁকে মুখ চালাতে কামড় বসে হট ডগ, বার্গার কিংবা স্যান্ডউইচে। এর ফলেই বাড়ে যাবতীয় ওজন। তখন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি ক্যালোরি খাওয়া হয়ে যায়। এবার সেই ক্যালোরি গ্রহণ করলেও তাকে ঝরিয়ে ফেলার কোনও রকম উদ্যোগ থাকে না। বসে বসে এই সব খাবার খেলে ওজন যেমন বাড়বে তেমনই চড়চড়িয়ে বাড়বে সুগারের কাঁটাও। ডায়াবেটিস একা আসে না, সঙ্গে হাজারো রোগ সমস্যাকেও আমন্ত্রণ জানায়। তাই যত দ্রুত সতর্ক হতে পারবেন ততই মঙ্গল। আবার টেনশন থেকেও সুগার বাড়ে।
আর তাই এখন সব বয়সের মানুষের উচিত বছরে অন্তত একবার সুগার পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া। এছাড়াও সামগ্রিক স্বাস্থ্য পরীক্ষাও ভীষণ ভাবে জরুরি। সমস্যা হলে নিজে থেকে কোনও রকম ওষুধ না খেয়ে আগে চিকিৎসকের কাছে যান। তাঁর পরামর্শ মেনে তবেই ওষুধ খান। সেই সঙ্গে জোর দিন রোজকার খাবারেও। বিশ্বের সর্বত্র মেলে সস্তার এই সবজিটি। যদিও অনেকেই ঢেঁড়শকে তাচ্ছিল্যের সঙ্গে দেখেন। কোথাও এর পরিচয় Okra, কোথাও আবার Bhindi। তা যে নামেই আপনি ডাকুন, তাতে গুণাগুণ এতটুকু কমে না। বরং, পুষ্টিমানের নিরিখে Bhindi সেই কবেই হয়ে উঠেছে ‘নিউট্রিশন হিরো’। একসঙ্গে অনেক রোগের দাওয়াই হল এই সবজি।
ঢেঁড়শের মধ্যে থাকে ২১ মিলিগ্রাম ভিটামিন সি, ২ গ্রাম প্রোটিন, ৬০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ৩ গ্রাম ডায়েটারি ফাইবার, ৭.৬ গ্রাম কার্বোহাইড্রেটস, ৮০ মাইক্রো গ্রাম ফোলেট, ০.১ গ্রাম ফ্যাট এবং ক্যালরি সর্বসাকুল্যে ৩০। যা পরিমাণে খুবই কম। যে কারণে রোজ ঢেঁড়শ খেলে দ্রুত ওজন কমে। বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছে যাঁরা নিয়মিত ভাবে ঢেঁড়শ খান তাঁদের রক্তশর্করার পরিমাণ সব সময় নিয়ন্ত্রণে থাকে। তুরস্কে বহু যুগ আগে থেকেই ঢেঁড়শের বীজকে কাজে লাগানো হচ্ছে চিকিৎসায়। ঢেঁড়শের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। যা পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। সঙ্গে ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল এসবও রাখে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে। ঢেঁড়শের গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম। ফলে তা ইনসুলিনের সংবেদনশীলতাকেও উন্নত করে।
ঢেঁড়শের মুচমুচে ভাজা খেতে ভালই লাগে। তবে তা রোজ খাওয়া ঠিক নয়। এতে স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। তাই সবচাইতে ভাল যদি ঢেঁড়শ সিদ্ধ করে খাওয়া যায়। তাহলে এর গুণগত মান বজায় থাকে আর হজমও ভাল হয়। এছাড়াও বানিয়ে নিতে পারেন দই ভেন্ডি। এতেও খুব দ্রুত হজম হয়।